অমর্ত্য সেনের এই সব অনৈতিক বাক্য প্রয়োগ তার জ্ঞান, বুদ্ধি ও মস্তিষ্কের ক্ষমতার ক্ষয় সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করছে

অমর্ত্য সেন, ২০১৪ সাল থেকে একজন জাতীয় রাজনৈতিক ভাষ্যকারে পরিণত হয়েছে। আমেরিকাতে অবস্থানরত, তিনি মোদীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে তীব্র অপছন্দ প্রকাশ করেছেন।

অমর্ত্য সেন ঢাকাতে তাঁর পৈতৃক বাড়ি বা ভিটে কেন অবসবাসযোগ্য হয়ে ওঠে তা নিয়ে সম্পূর্ন ভাবে নীরবতা বজায় রেখেছেন। তিনি ইসলামী সন্ত্রাসকে ব্যাখ্যা করার জন্য কোনও বিদগ্ধ যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেননি তবে এটিকে ভূমি সংস্কার হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

অমর্ত্য সেন দাবি করেছিলেন যে বাংলার সাংস্কৃতিক নীতিগুলি কখনই ভগবান রামকে অন্তর্ভুক্ত করেনি এবং “জয় শ্রী রাম” বাঙ্গালীদের জন্য কোনও স্লোগান বা জয়ধ্বনি ছিল না, যদিও বাস্তবতা সম্পূর্ন এর বিপরীত।

অমর্ত্য সেনের দাবী যে *রাম* বাংলার অঙ্গ নয়, এটি একটি সম্পূর্ন মিথ্যাচার এবং দুঃখজনক বক্তব্য এবং রাজনৈতিক কু-উদ্দেশ্যতে উদ্ভূত হয়েছে।

বাংলার বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত ধর্মীয় সমাবেশে রামায়ণ গান ছিল এক ধার্মিক নিত্য নৈমিত্তিক অভিনয়ের অংশ। নাম সংকীর্তন এবং হরির লুট, রাম ও রামায়ণের মতো অনুষ্ঠান গুলি হিন্দু পরিবারের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলির মতো বাংলায় এখনও প্রচলিত আছে ঠিক পূর্বের মতোই।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতা “পুরষ্কারে” রামায়ণ ও মহাভারত উভয় চেতনাকে বর্ণনা করেছেন এবং এতই সুস্পষ্টভাবে যে সেগুলি পাঠকদের মনে স্থায়ী চিত্র রেখে যায়।

 রাজনৈতিক বিশ্লেষক হয়ে ওঠার আগে অমর্ত্য সেন ছিলেন একজন উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তি। তিনি ছিলেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের বিখ্যাত অধ্যাপক ভবতোষ দত্তের বিখ্যাত ছাত্র। তবে, অর্থনীতির নোবেল স্মৃতি পুরস্কারের জন্য অমর্ত্য সেনের একজন সহপাঠী *অর্থনীতিবিদ সুখময় চক্রবর্তী* এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসুদেব অধিকারী অর্থনীতি বিভাগের একজন প্রখ্যাত অধ্যাপক, তারা সেনের চেয়ে কোনো অংশেই কম ছিলেন না।

যাইহোক, অমর্ত্য সেন সমসাময়িক অর্থনীতিবিদদের মধ্যে বেশি প্রাধান্য পেয়ে বড় হয়ে উঠেছেন যার মধ্যে কিছুজন ছিলেন অমর্ত্য সেনের চেয়ে তর্কসাপেক্ষে অনেক বেশি সক্ষম। একসময় অমর্ত্য সেন নিজেই বলেছিলেন – “এটা কীভাবে সম্ভব যে আমি সুখময়ের আগে নোবেল পুরস্কার জিতব?”। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খুব ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য ক্ষিতি মোহন সেনের নাতি অমর্ত্য সেনের ওপরে একটি প্রচ্ছন্ন রেফারেন্স। যোগ্যতা বাদেও,সেটি তার পক্ষে কাজ করেছিল। অবশেষে ১৯৯৮ সালে নোবেল স্মৃতি পুরস্কার পাওয়ার অনেক আগে থেকেই সেনের যে কোনও বছর এই পুরষ্কারের প্রাপ্তি নিয়ে একটি বড় প্রত্যাশা ছিল। নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার আগেই অমর্ত্য সেনকে *ভারতরত্ন* না দেওয়ার জন্য বামপন্থীদের *ভারত সরকারের সমালোচনা* করার কথা কি কারোর মনে আছে?অমর্ত্য সেনের নোবেল জয়ের সম্ভাবনা সম্পর্কে একটি প্রচার বাস্তবে নোবেল পাওয়ার বহু আগে থেকেই দীর্ঘকাল ধরে চলতে থাকে। এর পিছনে ছিল PR- লবির শক্তিশালী প্রভাব। যদিও তাত্ত্বিক ভাবে দেখতে গেলে অর্থনীতিতে অমর্ত্য সেন একজন উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তি হলেও, এটি নিশ্চিত নয় যে তাকে নোবেল পুরষ্কার কে দিয়েছিল; তার যোগ্যতা, না PR- লবি?

ওনার বাঙালি( *হিন্দু* ) গণহত্যার বিষয়ে নীরবতা ছিল উল্লেখযোগ্য।

অমর্ত্য সেন ১৯৩৩ সালে অবিভক্ত বাংলায় ঢাকাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।পিতা অধ্যাপক আশুতোষ সেন এবং মাতা অমিতা সেন।আশুতোষ সেন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রির অধ্যাপক। অমর্ত্য সেনের স্কুল জীবন ঢাকার সেন্ট গ্রেগরির স্কুল থেকে শুরু হয়েছিল। ১৯৪১ সালে, অমর্ত্যকে শান্তিনিকেতনে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং তিনি পাঠ ভবনে ভর্তি হন। তার পরিবার পাকাপাকি ভাবে ১৯৪৫ সালে ঢাকা থেকে শান্তিনিকেতনে চলে আসে।ঘনাক্রমে পরের বছরই অবিভক্ত বাংলা আগস্টে কলকাতায় হিন্দু বাঙালির প্রথম গণহত্যা দেখেছিল। ঘটনাটি গ্রেট কলকাতা কিলিং হিসাবে কুখ্যাত এবং এরপরেই একই বছরের অক্টোবরে নোয়াখালী গণহত্যার ঘটনা ঘটে।

যদিও অমর্ত্য সেন এটা স্মরণে রেখেছেন বা মনে রেখেছেন যে তিনি ঢাকা ও শান্তিনিকেতন দুই জায়গাতেই বড় হয়েছেন,কিন্তু তিনি কেন তাঁর পৈতৃক বাড়িটি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বা ফিরে যেতে চাইছেন না সেটা নিয়ে সম্পূর্ন নিরবতা বজায় রেখেছেন?

শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেন একটি বাড়ি রেখে বহুদিন ধরে আমেরিকাতে থেকে সেখানেই ঘুরছেন, অথচ সেই একই ভাবে তিনি  কেন ঢাকার বাড়িতে আর যাতায়াত করছেন না? একজন বড় পন্ডিত হিসাবে অমর্ত্য সেন ইসলামিকদের হিন্দু গণহত্যা সহ বাংলাদেশে হিন্দুদের সম্পত্তি জোর করে দখল করার যৌক্তিকতার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ঐতিহাসিক বাহবে নির্দোষ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের সমস্ত ঘটনা ,যা হিন্দু গণহত্যা হোক বা হিন্দুদের জমি বাড়ি সম্পত্তি দখল হোক, সবটাই  ‘ ভূমি সংস্কার’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ওনার মতে মুসলমানরা দরিদ্র ছিল এবং পূর্ব পাকিস্তানের সম্পত্তি প্রধানত হিন্দুদের করায়ত্ত ছিল,তাই ইসলামপন্থীদের বলপূর্বক ভাবে হিন্দুদের জমি বা সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।

অমর্ত্য সেন ইসলামিক সন্ত্রাসের কারণ ব্যাখ্যা করে কোনও যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেননি তাই ঘুরিয়ে এটিকে ভূমি সংস্কার হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তবে, বামপন্থীদের সংজ্ঞা অনুসারে, ভূমি সংস্কার করতে বল প্রয়োগের প্রয়োজন। এই ধারণার মূল বক্তব্য থেকেই তাদের মতে কাশ্মীরি হিন্দুদের নিধন করা এবং তাদের বিতাড়িত করাও ছিল ভূমি সংস্কার। সে কারণেই সম্ভবত ভারত সরকার ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভারতের নাগরিকদের জম্মু ও কাশ্মীরে জমি কেনার ক্ষেত্রে যে নতুন নিয়ম প্রণয়ন করেছে সেটা নিয়ে এর পরে আর কথা বলেনি। আসলে ক্রয় করে জমি কেনা এবং অতি অবশ্যই জোরপূর্বক-দখল না করে ভূমি সংস্কারের পদ্ধতি বামপন্থী আদর্শের সাথে খাপ খায় না।অমর্ত্য সেন ৩৭০ ধারা বাতিল করার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু কেন?

পশ্চিমবঙ্গও ১৯৭৭ সালে জ্যোতি বসুর নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার কর্তৃক ‘ভূমি সংস্কার’প্রত্যক্ষ করেছিল। পশ্চিমবঙ্গ ভূমি সংস্কার আইনের বিধানকে কাজে লাগিয়ে বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যের হিন্দু ভূমি মালিকদের বড় বড় জমি সম্পত্তি ছিনিয়ে নিয়েছিল। “অপারেশন বর্গা” ছিল সরকারী নামকরণ। বড় বড় জমিকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে বামফ্রন্ট প্রতিটি অংশের পাট্টা হিসেবে প্রধানত মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে বিতরণ করে। পশ্চিমবঙ্গের জমির মালিকরা তাদের কোনও দোষ ছাড়াই তাদের সম্পত্তি হারিয়েছেন।অমর্ত্য সেন এ জাতীয় ‘ভূমি সংস্কার’ এর প্রশংসা করেছেন এবং এটিকে দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন বলে অভিহিত করেছেন এবং এই ঘটনা বা কর্ম কান্ডকে বাম সরকারের একটা বড় সফলতা বা গরিবের কাছে তাদের মসিহা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন।

 অমর্ত্য সেন, ২০১৪ সাল থেকে একটি জাতীয় রাজনৈতিক ভাষ্যকারে পরিণত হয়েছে। আমেরিকায় অবস্থানরত অমর্ত্য বাবু ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীজিকে তীব্র অপছন্দ করেন। দিনের পর দিন অমর্ত্য সেন এনডিএ-র নেতৃত্বাধীন ভারতের শাসন ব্যবস্থায় গৃহীত পদক্ষেপ গুলোর বিরুদ্ধে কঠোরভাবে সমালোচনা শুরু করেছিলেন। যখন থেকে তিনি রাজনৈতিক সমালোচনা শুরু করেন তাঁর বক্তব্যের সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কের তেমন মিল প্রকাশিত ছিল না। তিনি প্রায়শই ভুল রাজনৈতিক বার্তা দেন যা স্পষ্টতই অস্বস্তিকর,  এর মাধ্যমে তিনি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে ভুল ধারনার জন্ম দেন। যার ফলে একজন সাধারণ রাজনীতিবিদ ও পণ্ডিত অমর্ত্য সেন এর রাজনৈতিক সংস্কারের মধ্যে কোন পার্থক্য বিবেচিত হয়না।

শ্রীরাম এবং রামায়ণ বাঙালিরই নীতিশাস্ত্রের অংশ

 কিছুদিন আগেই অমর্ত্য সেন দাবি করেছিলেন যে বাংলার সাংস্কৃতিক নীতিগুলির মধ্যে কখনই ভগবান রাম অন্তর্ভুক্ত নয় এবং “জয় শ্রী রাম” নাকি বাঙ্গালিদের কোনও বাক্য নয়। তার এই কথার সাথে বাস্তবের সম্পর্ক সম্পূর্ণ বিপরীত। অবিভক্ত বাংলার ধর্মীয় বিভাজনের আগে পূর্ববঙ্গে (যেখানে অমর্ত্য সেনের পরিবার মূলত থাকত) প্রতি বছর রামনবমীতে স্বদেশি মেলা উদযাপন করা হত। ভগবান রামের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক প্রভাব নিশ্চিহ্ন করার জন্য, বাম এবং অতি-বাম মনস্ক ব্যক্তিরা অক্লান্ত প্রচেষ্টা করেছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও “শ্রী রাম” ছিলেন বাঙালি জীবনের এবং মানসিকতার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কবি তুলসীদাস এর রামচরিতমানস রচনার অনেক আগেই, মহাকবি কৃত্তিবাস ওঝা বাংলা ভাষায় বাল্মীকি-র রামায়ণের অনুবাদ করেছিল। কৃত্তিবাসের অনুবাদ করা রামায়ণ, বই এর আকারে প্রতিটি বাঙালি পরিবারের আগেও ছিল এবং এখনও রয়েছে। এখানকার লোকেরা জীবনের অঙ্গ স্বরুপ কৃত্তিবাস এর রামায়ণ পড়তে বা শুনতে অভ্যস্ত। আর বাংলা শুধুমাত্র কলকাতায় সীমাবদ্ধ নয়।

কৃতিবাস এর রামায়ণ বাংলার বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত ধর্মীয় সমাবেশে রামায়ণ গান ও অভিনয় স্বরুপও প্রকাশিত হয়। বাংলার বিভিন্ন পরিবারে নাম সংকীর্তন এবং হরির লুট এর সময়ও শ্রী রাম এর পুজো হয়। হরির নাম সংকীর্তন চলাকালীন, বাংলার গ্রামীণ মহিলারা গানও গান , “শিব, দুর্গা, র‌াম, রাধেশ্যাম, জে ভাবে জে ভাবে, সে ভেবে সে পায়” (যে যেমন রূপে চায় সেই রুপেই উপাসনা করে দেবতাকে অনুভব করতে পারেন – ভগবান শিব, দেবী দুর্গা, ভগবান রাম,  ভগবান রাধেশিয়াম)। রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘গৃহদেবতা’ হিসাবে রঘুবীর শ্রী রামচন্দ্রকে উপাসনা করেছিলেন। উনবিংশ শতকে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি দাসী রঘুবীর শ্রী রামচন্দ্রের উপাসনা করেছিলেন। পরমহংসদেব স্বয়ং ভগবান রাম ও শ্রীকৃষ্ণ উভয়ই একই ব্যক্তির পুনর্জন্ম বলে বিশ্বাস করতেন। এই সব বিষয়ে বিবেচনা করলে, অমর্ত্য সেনের ভগবান শ্রী রামকে বাঙালি নীতি থেকে বাদ দেওয়ার বক্তব্য নিছক প্রলাপ হিসাবে বিবেচিত হয়। ঠাকুর ক্ষিতি মোহন সেনের(স্বর্গীয়) নাতি অমর্ত্য সেন কি তার নামের মূল্য ভুলে গেছেন? নাকি তার পাণ্ডিত্য খুবই ঠুনকো হয়ে গেছে?

রামায়ণ এবং মহাভারত বাংলাতে বাচ্চাদের মুখেও শোনা যায়। সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী রামায়ণ ও মহাভারত এর দুটি সংস্করণ বাংলায় লিখেছেন – একটি বাচ্চাদের জন্য এবং অন্যটি বড়দের জন্য। রাজশেখর বসু ওরফে পরশুরাম 1946 সালে বাল্মীকি রচিত রামায়ণকে বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘পুরস্কার’ কাব্যে রামায়ণ ও মহাভারত মানব জীবনের চেতনাকে কিভাবে জাগ্রত করে তা বর্ণনা করেছেন, যা তারা পাঠকদের মনে স্থায়ী চিহ্ন রেখে যায়। যাঁরা একবারও মন থেকে ‘পুরষ্কার’ পড়েছেন, তারা সম্ভবত ঠাকুরের রচিত মহান কাব্য চিত্রগুলি ভুলতে পারবে না। রাম ও রামায়ণ বাঙালির জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

এমন অজস্র তথ্য আছে। যা দেখে প্রমাণ হয় বাঙালির জীবনে ও মনে ভগবান শ্রী রামের আছেন। “হরে রাম হরে রাম, রাম রাম হরে হরে, হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে” আজ অবধি বাংলার প্রতিটি সাধারণ মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধের মত উচ্চারণ করেন। তাদের অনেকেই তাদের দিক্ষা মন্ত্র হিসাবে রাম নাম মন্ত্র হিসেবে পেয়েছে। বাংলার বাচ্চারাও যখন ভূতকে ভয় পায়, তখন ছড়া কাটে “ ভূত আমার পুত, পেত্নি আমের ঝি, রাম লক্ষণ বুকে আছ, কোরবে আমার কি ”  অর্থাৎ ভুতও তাদের ক্ষতি করতে পারবে না যখন রাম ও লক্ষ্মণ উভয়ই তাদের হৃদয়ে বাস করে। প্রভু রামের প্রতি বাংলা বাচ্চাদের বিশ্বাসেও এই পর্যায়ে।

উপরুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করলে,  ‘ রাম বাংলার অঙ্গ নয়’ – অমর্ত্য সেনের এই দাবী একটি মিথ্যাচার ও দুঃখজনক বক্তব্য, যা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত নিন্দনীয় । অমর্ত্য সেনের এই সব অনৈতিক বাক্য প্রয়োগ তার জ্ঞান, বুদ্ধি ও মস্তিষ্কের ক্ষমতার ক্ষয় সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করছে।

©দেবযানী

©অনুবাদ : অতনু

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.