সকল নাগরিকের বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকার

“Acts of vandalism do not serve public function or come under freedom of speech” By Supreme Court

ভারতের সংবিধানের ১৯ (১) (ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, “সকল নাগরিকের বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অধিকার থাকবে”। এই সংবিধানের অন্তর্গত, যেখানে তার সমস্ত নাগরিক, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করার জন্য একটি দৃঢ় সংকল্প করা হয়। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে জনসাধারণের সম্পত্তির ধ্বংসকে ভাঙচুর বা vandalism হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ভাঙচুর একটি বিদ্বেষজনক কাজ এবং ব্যক্তিগত আক্রোশ প্রতিফলিত করে, যদিও অপরাধীরা ভাঙচুর করার জন্য তাদের কারণের প্রয়োজন পড়ে না। এই আইনে বেপরোয়া মনোভাব এবং দুর্বৃত্তি উভয়ইকে দায়ী করে।কেরালার সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৫ সালের কেরালার বিধানসভা মামলায় অভিযুক্ত সিপিআই (এম) নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এই রায় আবার জনসাধারণের মনে আইনের প্রতি সম্মানবোধ ফিরিয়ে আনবে।রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ও বিচারপতি এম আর শাহের সমন্বয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ বলেছেন  যে সম্পত্তির ধ্বংসকে সংঘটিত করা  সংসদে বাকস্বাধীনতার সমতুল্য হতে পারে না। শীর্ষ আদালত আরও বলেছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা জনসাধারণের ন্যায়বিচার ও নীতিবিরোধী হবে।
১৩ ই মার্চ, ২০১৫-তে এলডিএফ বিধায়করা বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার  প্রচণ্ড গোলযোগ সৃষ্টি করেছিল। তারা টেবিলের উপর  উঠে স্পিকারের পডিয়াম থেকে চেয়ার ছুড়ে ফেলে এবং মাইক, কম্পিউটার এবং কীবোর্ড ভাঙচুর করে। এলডিএফ বিধায়করা  দায়িত্বপালন রত নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়েছিল। বহু নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছিলেন।
“সংসদ সদস্য এবং বিধায়কগণকে ভারতের সংবিধানের প্রতি বিশ্বাস গ্রহণ করতে হবে ।জনসাধারণের সম্পত্তি ধ্বংস করার কাজ করা কখনোই বাকস্বাধীনতার সমতুল্য হতে পারে না।”, “
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড় এবং এমআর শাহের দ্বি-বিচারকের বেঞ্চ আরো যোগ করেন – “কেরালার সরকারের আপিলের কোনও যোগ্যতা নেই।”

কেরালার সরকারকে নিন্দা করে বিজেপির কেরালার রাজ্য সভাপতি সুরেন্দ্রন বলেছেন, “কেরালার বিধানসভা মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কেরালার সরকারকে তিরস্কার করেছেন ,বোঝায় যায় যে কেরালার সরকার কীভাবে কাজ করছে। প্রতিমন্ত্রী শিবানকুট্টির পদত্যাগ  করা উচিত, কারণ গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। “

আদালতের এই প্রকৃত ন্যায়বিচার আরোও একবার জনসাধারণের মনে ফ্রিডম অফ স্পিচ ও ভ্যানডালিসমের মধ্যে পার্থক্য কে তুলে ধরল , যা অতীতে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় দেখা গিয়েছিল বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর অনুপ্রেরণায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.