এক একটি ভারতীয় উদ্ভিদ এমন, যার তলায় সিদ্ধিলাভ করেছেন ভারতীয় সাধুসন্ত। এখনও যদি সেই গাছ বেঁচে থাকে, তার তলায় সমবেত হন ভক্তবৃন্দ। পঞ্চবটির তলায় কত সাধু সন্ন্যাসী পরমানন্দের সন্ধান পেয়েছেন। ফরিদপুরের শ্রীঅঙ্গনে ‘হরিপুরুষ’ শ্রীজগদ্বন্ধু সুন্দর (১৮৭১-১৯২১) চালতা গাছকে মহীয়ান করে গেছেন। মহানাম অঙ্গন ও সম্প্রদায়ের কাছে চালতা তাই একটি পবিত্রRead More →

প্রথম স্ত্রী গৌরীর মৃত্যুর কিছুদিনের মধ্যেই চলে গেলেন বোন মণি। দুই কাছের মানুষের মৃত্যুশোক অনেকটাই ভেঙে দিল বিভূতিভূষণকে। চলে এলেন কলকাতায়। একদিন টালিগঞ্জের কাছে দেখা পেলেন এক সন্ন্যাসীর। তাঁর কাছ থেকে শুনলেন আত্মা-তত্ত্বের ব্যাখ্যা। ঘোর চেপে গেল। শুরু হল পরলোক-চর্চা। সেই সন্ন্যাসীর কাছ থেকেই শিখলেন প্ল্যানচেট তথা ‘মণ্ডল’। এরপর, এই পরলোক-চর্চাইRead More →

রবীন্দ্রনাথ শিশু-কিশোরদের খুব ভালোবাসতেন। শান্তিকেতনে যখন থাকতেন, সন্ধে হলেই বসতেন কচিকাঁচাদের নিয়ে। এখনকার মতো বেশি ছাত্রছাত্রী তখন সেখানে ছিল না। পড়াশোনা দিনের বেলা ক্লাসেই হয়ে যেত। পড়ুয়ারা অপেক্ষায় থাকত, কখন সন্ধে হবে আর কখন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ আসবেন। গুরুদেবেরও সেই সভায় আসার জন্য মন আনচান করত। বড়ো সভা-সমিতি, আমন্ত্রণ ইত্যাদিতে না গিয়েও তিনিRead More →

“ভৌতিক ভীতির মূল শুধু প্রত্যক্ষের অগোচর বাস্তবকায়াহীন সত্তার অস্তিত্ব কল্পনার হয়নি। প্রাণের নিঃসঙ্গ একাকিত্বের মৌলিক অসহায় ভীতির মধ্যেই এর বীজ রয়েছে। …নিঃসহায় একাকিত্বের অহেতুক ভীতি এই-ই ভূতের ভয় প্রভৃতি অনির্দেশ্য আতঙ্কের বীজ।” (গল্পের ভূত/সুকুমার সেন) শীতকাতুরে বাঙালি। আবার, বর্ষাসচেতন বাঙালি—ছাতা ভুলে ফেলে আসা তাদের দস্তুর। এবং বাঙালি আড্ডাবাজ। এই ত্র্যহস্পর্শ ঘটলেRead More →

শিবাজীর হিন্দু জাতি-গঠন-ভাবনা এবং প্রণবানন্দজী ও শ্যামপ্রসাদে তার উত্তরাধিকার। যুগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দ মহারাজ হিন্দু-জাতি-গঠন সংক্রান্ত নানা ভাষণ ও কাজে বারবার হিন্দু সম্রাট ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেন। ১৯৪০ সালের মার্চ মাসে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হিন্দু সম্মেলনে ‘হিন্দু রক্ষীদল’ গঠনের আহ্বান জানান এবং হিন্দু সমাজের বিপন্নতার বিষয় তুলে ধরেন। কারণ ১৯৩৭Read More →

উদীয়মান বলার্কের মতো কান্তিমান পবননন্দন, বানর শিরোমণি হনুমান। তাঁর বর্ণ অশোক ফুলের মতো, তাঁর চোখ সোনার মতো, তিনি বিপুল এবং বিশাল। শ্রীরামচন্দ্রের পক্ষে দূত হয়ে তিনিই গিয়েছিলেন লঙ্কায়। বীর্য ও ধৈর্য্যের আধার তিনি; তিনি প্রভুভক্ত, বানরোত্তম, বলবীর্যশালী দৈব্যসত্তা। জনকদুহিতা সীতাদেবীর খবর নিয়ে আসতে তিনি সক্ষম ছিলেন। শতযোজন সাগর অতিক্রম করতেওRead More →

শ্রীরামকৃষ্ণ-পার্ষদ স্বামী অখণ্ডানন্দজী মহারাজ মুর্শিদাবাদ জেলার মহুলা-সারগাছিতে ১৩০৩ বঙ্গাব্দের (১৮৯৭ সালে) অন্নপূর্ণা পূজার দিন সেবাধর্মের সূত্রপাত করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড়ের অধীন প্রথম শাখা কেন্দ্র। কয়েকটি অনাথ বালককে নিয়ে আশ্রমের কাজ শুরু করলেন তিনি। একটি চিঠিতে স্বামী বিরজানন্দকে তিনি লিখছেন, “১৩০৩ সালের শুভ অন্নপূর্ণা পূজার দিন ঠাকুর এখানেRead More →

তীর্থ হোক বা শখের ভ্রমণ, বেড়ানোর শেষে ফেরার পথে বাঙালির থলে ভরে ওঠে নানারকম উপহারে। আত্মীয়প্রীতি অনেকটা তলানিতে ঠেকলেও প্রিয়জনের জন্য যে জায়গায় গেছিলেন সেখানকার এটা ওটা টুকিটাকি হাতে করে নিয়ে আসতে এখনও ভোলে না বাঙালি। আজ থেকে একশ বছর আগে বাঙালি তীর্থভ্রমণই করত বেশি, ফলে সেখানেও তীর্থক্ষেত্রের প্রসাদ বাRead More →

জনশ্রুতি আছে সাহেব লর্ড ক্লাইভ বলেছিলেন, “পৃথিবীর সব থেকে পাপপূর্ণ জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম এই কলকেতা।” তা এই পাপের ঘড়ায় জল ঢালার নেপথ্যে কিন্তু তিনিও ছিলেন! এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা মদ্যপায়ীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন কিন্তু ব্যক্তিজীবনে দিনে নিদেন পক্ষে এক পাত্র চাইই চাই, কেউ কেউ আবার পাঁড় মাতাল। যেমন আমাদের ঈশ্বর গুপ্ত। সুরাপ্রেমীRead More →

দু’দশক আগে হলে, এই সময় মানে এই ভরা চৈত্রে গড়িয়াহাট, ধর্মতলা, হাতিবাগান চত্বরে পা বাড়ানোর আগে মানুষ দু’বার ভাবতো। আমরা সকলেই জানি, সে ছবি আর নেই। চৈত্র সেল ছাড়া নতুন বছর! এককালে ভাবতে পারতো না বাঙালি। সময়ের বেনোজলে উদযাপনের ধারা যেমন বদলেছে, তেমনই বদলে গেছে চৈত্র সেলের ধরন। কেউ কেউ বলবেন, জীবন সহজRead More →