জমির বিনিময়ে জমি! নেপাল কনস্যুলেটের সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর কলকাতা মেট্রোর, কাটল পার্পল লাইনের জট

জোকা থেকে সোজা এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত (পার্পল লাইন) মেট্রোর কাজ চলছে অনেক দিন ধরেই। তবে ওই পথে বার বার নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে সমস্যা। নানাবিধ সমস্যার মধ্যে অন্যতম ছিল মোমিনপুর এবং খিদিরপুরের মধ্যেকার একটি জমি! ওই জমিটি ছিল নেপালের কনস্যুলেটের। মেট্রোপথ সম্প্রসারিত করতে ওই জমির প্রয়োজন ছিল কর্তৃপক্ষের। অবশেষে সেই জমি-জট কাটল। ওই জমি নিয়ে নেপাল কনস্যুলেটের সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করল কলকাতা মেট্রো এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (আরভিএনএল)।

মোমিনপুরে নেপাল কনস্যুলেটের একটি ৪০৯.৫৩ বর্গমিটার জমি ছিল। সেই জমির উপর দিয়েই রয়েছে জোকা-এসপ্ল্যানেডের প্রস্তাবিত রুট। কী ভাবে ওই জমিতে কাজ করা যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যদি তা সম্ভব না-হয় তবে ওই রুটের মেট্রোর ভবিষ্যৎ চলে যেত বিশ বাঁও জলে। গত তিন বছর ধরে ওই জমি-জট কাটানোর চেষ্টা চলছিল। কূটনৈতিক মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করাই লক্ষ্য ছিল। তার জন্য নেপাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মেট্রো কর্তৃপক্ষ তো বটেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও একাধিক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকগুলির ফল এই মৌ চুক্তি।

চুক্তি অনুযায়ী, নেপাল কনস্যুলেটের ওই জমির পরিবর্তে অন্যত্র ৫২৬.৩৪ বর্গমিটার জমি দেবেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ওই জমিটি ছিল মেট্রোরই। সোমবার ভিক্টোরিয়া স্টেশনে আরভিএনএল মডেল রুমে মৌ স্বাক্ষর হয় দুই পক্ষের মধ্যে। কলকাতার নেপাল কনস্যুল জেনারেল জাক্কাপ্রসাদ আচার্য ছাড়াও ছিলেন মেট্রোর একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। মেট্রো কর্তৃপক্ষ আশাবাদী, জমি-জট কাটায় খুব শীঘ্রই ওই লাইনের বাকি কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। চালু হয়ে যাবে জোকা থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পুরোপথে মেট্রো চলাচল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.