কোটায় ফের ছাত্রমৃত্যু! ঘর থেকে দিল্লির যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, কোথায় কী পড়ছিলেন, ধন্দে পুলিশ

রাজস্থানের কোটায় ফের ছাত্রমৃত্যু। এ বার পিজির ঘর থেকে উদ্ধার করা হল দিল্লির এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ছাত্রের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট দেখে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হবে।

মৃত ছাত্রের নাম লাকি চৌধরি (২০)। দিল্লি থেকে কোটায় পড়তে এসেছিলেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। কিন্তু তিনি কী পড়ছিলেন, কোথায় পড়ছিলেন, কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ছাত্রের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। ডিএসপি লোকেন্দ্র পালিওয়াল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, কোটার বিজ্ঞাননগর থানা এলাকার সেক্টর ২-তে একটি পিজিতে ভাড়া থাকতেন ওই ছাত্র। গত বছর পর্যন্ত তিনি স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু বর্তমানে কোথায় কী নিয়ে পড়ছিলেন, তা জানা যায়নি। পিজি-র ঘর ঘাঁটাঘাঁটি করে আরও প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

বুধবার রাতে ছাত্রের মৃত্যুর খবর পায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা দেখে, পিজি-র ঘরটি ভিতর থেকে বন্ধ। দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করা হয় এবং তা রাতেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। ঠিক কী কারণে মৃত্যু, ওই ছাত্র মানসিক অবসাদ বা অন্য কোনও সমস্যায় ভুগছিলেন কি না, জানতে তাঁর পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আত্মীয়পরিজনদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।

কোটায় প্রতি বছর দেশের নানা প্রান্ত থেকে বহু ছাত্রছাত্রী পড়তে যান। ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য সেখানে ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুত করানো হয়। শহর জুড়ে রয়েছে ছোটবড় অনেক কোচিং সেন্টার। কিন্তু প্রতি বছর কোটা থেকে একাধিক ছাত্রের মৃত্যুসংবাদ আসে। অধিকাংশই পড়ার চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হন। এ নিয়ে অনেকে অনেক বার আপত্তি তুলেছেন। অনেক মামলা হয়েছে। এমনকি, পড়াশোনা এবং পরীক্ষার পদ্ধতিও বদলে ফেলেছে কোটার কোচিং সেন্টারগুলি। কিন্তু ছাত্রমৃত্যু থামেনি। বুধবারের ঘটনাও সেই তালিকায় পড়বে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.