ডুরান্ডের বদলা কলকাতা লিগে নিল ইস্টবেঙ্গল, জেসিনের জোড়া গোলে হারাল ডায়মন্ড হারবারকে, ট্রফি জয় থেকে এক ধাপ দূরে

ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে ডায়মন্ড হারবারের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগে প্রতিশোধ নিল তারা। রবিবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ডায়মন্ড হারবারকে ৩-১ গোলে হারাল। পরের ম্যাচ জিতলেই কলকাতা লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গল। চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডে দু’ম্যাচে ছয় পয়েন্ট হল ইস্টবেঙ্গলের।

রবিবার খেলা রাখা হয়েছিল নিরপেক্ষ মাঠ কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে। বৃষ্টিভেজা দুপুরে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল মন জয় করে নিয়েছে সমর্থকদের। সুযোগ নষ্ট না করলে তারা আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত। শেষ মিনিট পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবারকে চাপে রেখেছে তারা।

কার্ড সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল আগের ম্যাচে পায়নি দেবজিৎ মজুমদার এবং সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ দিন দু’জনকেই প্রথম একাদশে রেখেছিলেন কোচ বিনো জর্জ। ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। ১৫ মিনিটের মাথায় ডায়মন্ড হারবারের রোহন কুদুস চোট পেয়ে বেরিয়ে যান। ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য ছিল শুরুতেই গোল তুলে নেওয়া। সেই কাজে সফলও হয় তারা।

২৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ডেভিড লালানসাঙ্গা। আমনের পাস পেয়েছিলেন পিভি বিষ্ণু। তিনি ক্রস করেন বক্সে। সেখান থেকে গোল ডেভিডের। গোল পেয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী ফুটবল খেলতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন লাল-হলুদের ফুটবলারেরাই। যদিও প্রথমার্ধে কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি। ভেজা মাঠও সমস্যায় ফেলছিল দুই দলের ফুটবলারদের।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ে। ডায়মন্ড হারবারের জবি জাস্টিনের একটি শট বাঁচান দেবজিৎ। কিছু ক্ষণের জন্য আক্রমণের তেজ বাড়িয়ে দিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার। ৭২ মিনিটে গোল শোধ করে দেয় তারা। পলের ফ্রিকিক থেকে হেডে গোল করেন পবন।

দু’মিনিটের মধ্যে আবার এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বাঁ প্রান্ত থেকে সায়নের পাসে গোল করেন জেসিন। সংযুক্তি সময়ে দ্বিতীয় গোল করে জয় নিশ্চিত করেন তিনি। আরও একটি সুযোগ নষ্ট না করলে হ্যাটট্রিকও করে ফেলতে পারতেন। সামনে ডায়মন্ড হারবারের গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.