একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ল ইউক্রেনের রাজধানী কিভে। রুশ সেনার হামলায় তছনছ শহরের বিভিন্ন অংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশ জুড়ে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কা, সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়1605974 পর্ব চলছে। সেই আবহেই রুশ সেনার হামলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে কি যুদ্ধ থামবে না?
ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়া তাদের দেশে অন্তত ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ২৫০টি ড্রোন হামলাও চালানো হয়। রুশ সেনার মূল লক্ষ্যই রাজধানী কিভ! ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছ’টি ক্ষেপণান্ত্র এবং ২৪৫টির মতো ড্রোন আঘাত রুখেছে। তবে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো যায়নি। নিপ্রো, খারকিভ, ওডেসা, ডোনেৎস্ক, জ়্যাপোরিজ়জিয়ার মতো এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংস হয়। হতাহতের সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে।
ইউক্রেনের পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতভর রুশ হামলায় শুধু কিভেই ১৮ জন আহত হন। হামলার কারণে বেশ কয়েকটি বহুতলে আগুন ধরে যায়। একাধিক বহুতল ভেঙে পড়েছে। ড্রোন এবং ক্ষেপণান্ত্র হামলার পর পরই রাজধানী জুড়ে সাইরেন বাজার শব্দ শোনা যায়। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন নিরাপদ স্থানে। কেউ বাড়ির সিঁড়ির নীচে, কেউ আবার মাটির তলার বাঙ্কারে গিয়ে লুকান প্রাণ বাঁচাতে। এই হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধ শুরুর তিন বছর পরে গত সপ্তাহে প্রথম বার কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিল দু’পক্ষ। তুরস্কের ইস্তানবুলে ওই বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও দু’পক্ষই পর্যায়ক্রমে ১০০০ জন করে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তা মেনে নিয়ে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন। শুক্রবারের পর শনিবারও বন্দি বিনিময় হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। ৬০০ জনের বেশি বন্দি বিনিময় হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে।