Jalpaiguri: স্ত্রী দীর্ঘদিন বাপেরবাড়িতে! অভিমানে লাইভ ভিডিয়ো পোস্টের পর-ই যুবক…. মায়ের দাবি…

ফেসবুক প্রোফাইলে লাইভ ভিডিয়ো পোস্ট। আর তারপরই চরম কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন যুবক। স্ত্রীর প্রতি অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী যুবক! এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুরের পানাশগুড়িতে। প্রেমিকাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পানাশগুড়ির ওই যুবক! এদিকে ফেসবুক লাইভের পর উদ্ধার হল সেই যুবকের ঝুলন্ত দেহ। উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি বেলাকোবা ফাড়িঁর পুলিস। 

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সঞ্জয় রায়। দীর্ঘ আট বছর আগে সমিতা রায়ের সঙ্গে বিয়ে। ভালোবেসে বিয়ে করেছিল যুগল। দীর্ঘদিন সংসারও করেছিল। কিন্তু অশান্তির জেরে দুর্গাপুজোর সময় সঞ্জয়কে ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। তারপর থেকে আর তাঁদের মধ্যে আর কোনও যোগাযোগ ছিল না। 

এরপরই রবিবার রাতে ভাত খাওয়ার পর ৮টার সময় আচমকাই নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি লাইভ ভিডিয়ো পোস্ট করেন সঞ্জয়। যেখানে স্ত্রীর প্রতি তাঁর ভালোবাসা, মান – অভিমান ব‍্যক্ত করেন। এমনকি এই পৃথিবী ছেড়ে চিরকালের মতো বিদায় নেওয়ার কথাও লাইভে বলেন সঞ্জয়। আর তারপর-ই রাতেই বাড়ির পাশে গাছের ডালে সঞ্জয়কে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁর পরিবারের লোকজন।

খবর দেওয়া হয় পুলিসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সঞ্জয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় জলপাইগুড়ি বেলাকোবা ফাড়িঁর পুলিস। ওসি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

সঞ্জয়ের আত্মীয় থেকে পাড়া প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন স্ত্রীর প্রতি অভিমানের থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন সঞ্জয়। ওদিকে সঞ্জয়ের মা ছেলের মৃত্যুর জন্য তাঁর পুত্রবধূকেই দায়ী করছেন। অন‍্যদিকে স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছন সঞ্জয়ের স্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, এমন ঘটনা যে ঘটিয়ে ফেলবে তা আমি জানতাম না। তবে পরিবারে মারধর করা হত বলেই তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান বলে অভিযোগ তাঁর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.