Hooghly: সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল! প্রেমিকার নাবালক ছেলেকে হাড়হিম খুন…

বিস্কুট কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে, প্রেমিকার নাবালক ছেলেকে খুন। তারপর মৃতদেহকে রেললাইনের পাশে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল চুঁচুড়া আদালত। বুধবার হবে সাজা ঘোষণা। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, হুগলি তিন নম্বর কৃষ্ণপুর এলাকার এক মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ব্যান্ডেল লিচু বাগানের বাসিন্দা অরবিন্দ তাঁতির।

ডিভোর্সী ওই মহিলা বাপের বাড়িতে থাকতেন। সেখানে যাতায়াত ছিল অরবিন্দর। প্রেমিকার এগারো বছরের ছেলে সৌম্যজিৎ সেই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যা নিয়ে দুজনের অশান্তি চলছিল। ২০১৭ সালের ৭ জানুয়ারি বিস্কুট কিনে দেওয়ার নাম করে নিয়ে গিয়ে সৌম্যজিতকে শ্বাসরোধ করে খুন করে হুগলি স্টেশন লাগোয়া এলাকায় মন্দিরের পাশে ফেলে দেয়।

নাবালকের মা পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন। ব্যান্ডেল পুলিস ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রসেনজিৎ ঘোষ এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন। তিনি তথ্য প্রমান দাখিল করেন আদালতে। মামলার সরকারী আইনজীবী ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। তিনি জানান, ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আজ চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় শর্মা সঞ্জয় শর্মা অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। পরশু হবে সাজা ঘোষণা।

উল্লেখ্য, প্রকাশ্য দিবালোকে এক ছাত্রীর উপর দুষ্কৃতী তান্ডব। সাইকেলে করে টিউশনি পড়তে যাওয়ার সময় তিন দুষ্কৃতী তাঁকে সাইকেল থেকে নামিয়ে টেনে হিঁচড়ে জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে জঙ্গলের মধ্যে তার মুখে জোর করে তরল ওষুধ জাতীয় কিছু খাইয়ে ফেলে দিয়ে যায়। এরপরই নাবালিকার গলা থেকে পেট জ্বালা করতে শুরু করে। শুরু হয় রক্তবমি। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্কে ওই ছাত্রী ও তাঁর পরিবার পরিজন। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের ডোঙ্গলের বামুনডাঙ্গা এলাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.