কর্মবিরতি উঠতেই পুরনো ছবি দেখা গেল কলকাতা মেডিক্যালে, গভীর রাতেও পরিষেবায় জুনিয়র ডাক্তারেরা

রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা। এর পরেই কাজে ফিরলেন তাঁরা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে গভীর রাতেও পরিষেবা দিতে দেখা গেল জুনিয়র ডাক্তারদের। অনেকে হাত লাগালেন গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচারেও। একই চিত্র অন্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও। এতে স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন রোগীরা।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির পর ১ অক্টোবর থেকে ফের পূর্ণ কর্মবিরতির কথা ঘোষণা করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। শুনানির পর নিজেদের মধ্যে জিবি বৈঠক সেরে মোট ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার আরজি করের অডিটোরিয়ামে জুনিয়রদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন সিনিয়র ডাক্তারেরা। রোগীস্বার্থের কথা বিবেচনা করে যাতে জুনিয়র ডাক্তারেরা কর্মবিরতি কিছুটা শিথিল করেন, সেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাঁরা। সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ১০ ঘণ্টা জুনিয়র ডাক্তারদের প্যান জিবি (জেনারেল বডি) বৈঠকে ঠিক করা হয় পরবর্তী কর্মসূচির রূপরেখা। ঠিক হয় এসএসকেএম থেকে মিছিল করে ধর্মতলায় এসে তাঁরা আন্দোলনের কথা জানাবেন।

শুক্রবার রাতেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তবে কর্মবিরতি তুললেও আন্দোলন থামছে না, তা স্পষ্ট করে দেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়ে দেন, কোনও চাপে পড়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন না তাঁরা। এর পরেই জুনিয়র ডাক্তারদের অনেকে নিজের কলেজে ফিরে গিয়ে রোগীর পরিষেবায় মন দিয়েছেন। রাত থেকেই ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান শুরু করছেন আন্দোলনকারীরা। বাকি ডাক্তারেরা সেখানেই রয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন অনেক সাধারণ নাগরিকও। ধর্নামঞ্চে রাখা হয়েছে একটি ঘড়ি। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর আন্দোলনকারীদের দশ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমরণ অনশনের পথে হাঁটবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.