গেরুয়া পথে রুদ্রনীল? জন্মদিনেই কথা দিলেন কৈলাসের সঙ্গে বৈঠক করবেন

লাল থেকে সবুজ হয়েছিলেন। এবার কি গেরুয়া পথে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ?

সমাজের যে সমস্ত মানুষ সাতে পাঁচে থাকেন না, কেবল ‘বারান্দায় রোদ্দুর, আমি আরাম কেদারায় বসে দুপা নাচাইরে’ ঢঙে জীবন কাটান তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্রুপ দেগেছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।

তিনি তো ছোট থেকেই রাজনৈতিক সচেতন। সাঁতরাগাছির পাড়া থেকে কলেজ– সর্বত্রই ছুটে যেতেন আপদে বিপদে। সাতে পাঁচে থাকতেন। একটা সময় হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজে চুটিয়ে এসএফআই করেছেন। তারপর একটা বড় সময় রাজনীতির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় সরকারের সময়ে তৃণমূলে আসেন। তাঁকে দেওয়া হয় মোটা বেতনের সরকারি কমিটির চেয়ারম্যান পদও।

বুধবার ছিল রুদ্রর জন্মদিন। সূত্রের খবর এদিনই বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে রাজি হয়েছেন তিনি। যদিও এ ব্যাপারে কোনও পক্ষই মুখ খোলেননি।

তবে সরকারি কমিটি পেলেও বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন রুদ্র। এদিনের খবর তাই তাত্‍পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।

সেই সঙ্গে আরও একটি বিষয় কৌতূহলের। তা হল বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রুদ্রর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাই রুদ্র-কৈলাস বৈঠকের খবরে রাজীব নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে।

এমনিতে বিজেপিতে এখন টলিপাড়ার বহু মুখ শামিল হয়েছেন। উনিশের লোকসভার পর তো দিল্লি গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন কাঞ্চনা মৈত্র, লামা, অনিন্দ্য ভট্টাচার্যের মতো তারকারা। এঁদের মধ্যে অনেকের সঙ্গেই রুদ্রর খুব ভাল সম্পর্ক। ‘গোড়ায় গণ্ডগোল’-এ তো লেকেটের সঙ্গেও দুরন্ত অভিনয় উপহার দিয়েছিলেন রুদ্রনীল।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এককালে সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন দেখা ‘ভিঞ্চিদা’ কি রাম রাজত্বের পথে পা বাড়াবেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.