এবার পিপিপি মডেলে (PPP Model) বেসরকারি হাসপাতাল তৈরির জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (National Medical Commission)। মূল উদ্দেশ্য দেশে আরও বেশি ডাক্তারির পঠনপাঠন বাড়ানো।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে ৩০০ বা তার বেশি শয্যা রয়েছে, সেগুলিকে যুক্ত করে নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে মেডিক্যাল পড়ুয়ারা ওই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন। হাতে–কলমে শিখতে পারবেন ডাক্তারির যাবতীয় পাঠ। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের মেডিক্যাল এডুকেশন সেল থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন নিতে হবে।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের নয়া বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দপ্তরের এক বিভাগীয় আধিকারিক বলেছেন, পিপিপি মডেলে নতুন মেডিক্যাল কলেজ শুরু করতে চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ–সহ সব রাজ্যেই নিয়ম করে আবেদন জমা পড়ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর এই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের এই বিজ্ঞপ্তির পর কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
বস্তুত, সরকারি বা বেসরকারি – দু’ ধরনের নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হতে পারে নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী। তবে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজকে এই জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, আগ্রহী মেডিক্যাল কলেজকে আগামী ১০ তারিখের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
দেশে এখনও করোনা সংক্রমণের (Corona Pandemic) পরিস্থিতি খুব ভাল নয়। দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যে এখনও বেশ কিছুটা পিছিয়ে, করোনা ফের একবার তা প্রমাণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি করে চিকিৎসক, হাসপাতাল প্রয়োজন। আর তাই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে আখেরে সুবিধাই হবে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।