কোনো দেশের জন্য সবথেকে মূল্যবান বস্তু হলো সেই দেশের সংস্কৃতি। কোনো দেশকে বা সমাজকে দখল করতে হলে সেই দেশের সংস্কৃতি/কালচারকে নষ্ট করা অতি আবশ্যক। এক সময় ভারত বিশ্বগুরু ছিল কিন্ত পরে নানা বাহ্যিক শক্তি এসে ভারতে রাজনৈতিক বিস্তারের সাথে সাথে ভারতের আসল সংস্কৃতি/কালচারকে নষ্ট করার কাজ করেছে। এমনকি ইংরেজ/মুঘলরাও ভারতে এসেও ভারতীয় সংস্কৃতি মুছে ফেলার জন্য নান পদক্ষেপ নিয়েছিল। ইংরেজরা ভারতীয় সংস্কৃতির মূল স্রোত গুরুকুল শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলে দিতেও সক্ষম হয়েছে। এখন ভারতে যে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত তা ম্যাকেলে ও ম্যাক্সমূলার দ্বারা পরিকল্পপিত। ভারত নিজস্ব শিক্ষা ব্যাবস্থা হারিয়ে ফেলার কারণে আজ ভারতীয়রা পাশ্চাত্য দেশগুলির সংস্কৃতির প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়।
ভারতের মতো অন্য দেশের সংস্কৃতির উপরেও এইভাবে বৈদেশিক আক্রমন হয়েছে। আজকের ইরান এক সময় পার্সিয়া ছিল। সেখানে ইসলাম আসার আগে অন্য ধরনের সংস্কৃতি ছিল। ধীরে ধীরে পার্সিয়াতে ইসলাম প্রবেশ করে এবং পার্সিয়ার সংস্কৃতি মুছে দিয়ে সেখানে ইসলামের কালচার স্থাপিত হয়। ধীরে ধীরে পার্সিয়াতে শরিয়া কানুন লাগু করে দেওয়া হলো এবং পার্সিয়ার আসল সংস্কৃতি মুছে দিয়ে সেখানে নাচ, গান ইত্যাদির উপর নিষেধাজ্ঞা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে ইসলামের দমনকারী কানুনের বিরূদ্ধে এখন স্থানে স্থানে বিরোধ দেখা যাচ্ছে। বিগত কিছু বছরে ইরানের মহিলারা নিডরতার সাথে শরিয়া কানুনের বিরোধীতা শুরু করেছে। ইরানের মহিলারা এখন হিজাব ও বোরখার বিরুদ্ধে প্রদর্শন করে। নান জায়গা থেকে হিজাব, বোরখা পুড়িয়ে দেওয়ার খবর সামনে আসে। ইরানের একটা ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা ইরানে নাচের উপর যে নিষেধাজ্ঞা আছে তার বিরোধ করছে। মহিলা এক খুঁটির উপর চেপে নাচ করে ইসলামিক শরিয়া কানুনের বিরোধীতা করছে।
তবে ইসলামের দমনকারী কানুনের বিরূদ্ধে এখন স্থানে স্থানে বিরোধ দেখা যাচ্ছে। বিগত কিছু বছরে ইরানের মহিলারা নিডরতার সাথে শরিয়া কানুনের বিরোধীতা শুরু করেছে। ইরানের মহিলারা এখন হিজাব ও বোরখার বিরুদ্ধে প্রদর্শন করে। নান জায়গা থেকে হিজাব, বোরখা পুড়িয়ে দেওয়ার খবর সামনে আসে। ইরানের একটা ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা ইরানে নাচের উপর যে নিষেধাজ্ঞা আছে তার বিরোধ করছে। মহিলা এক খুঁটির উপর চেপে নাচ করে ইসলামিক শরিয়া কানুনের বিরোধীতা করছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক মহিলা খুঁটির উপর চেপে ড্যান্স করছে। নীচে থাকা অনেক মহিলা ও পুরুষ ওই মহিলার সমর্থনও করছে। জানিয়ে দি, ইরানে হিজাব খুলে ঘুরে বেড়ানো, ডান্স করা ইত্যাদির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু এখন মহিলারা এই কানুনের বিরুদ্ধে সংঘর্ষ শুরু করে দিয়েছে। মহিলা ভয়হীন ভাবে ধার্মিক কট্টরতার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে। এখন ইরানের বহু মহিলার মুখে একটাই শ্লোগান- শরিয়া সে লেঙ্গে আজাদি, লেকে রেহেঙ্গে আজাদি।