পাকিস্থানের সিন্ধ এলাকায় দোলযাত্রার দিন ১২ ও ১৪ বছরের নাবালিকা দুই কন্যাকে ইসলামিক কট্টরপন্থীরা অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে তাদের গোলাম বানিয়ে রেখেছে। পাকিস্থানের সিন্ধ এলাকায় হোলির দিন ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা যেখানে পাকিস্থানের কিছু সংখ্যক হিন্দু টিকে রয়েছে। ইসলামিক জিহাদীদের দ্বারা অপহরণ হওয়া ওই দুই নাবালিকাদের নাম রিনা ও রবিনা। তথ্যানুযায়ী মেয়ে গুলির পরিবার ছিল দলিত হিন্দু। এই ঘটনাই শোকাহত তাদের বাবা মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। হোলির দিন ওই দুই মেয়েদের ইসলামিক কট্টরপন্থীরা অপহরণ করে নিয়ে যায় ।ওই দিনই মেয়েগুলিকে দুই মুসলিম পাত্রের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। যদিও ছেলেগুলি পূর্ব বিবাহিত ছিল এবং ২ টি করে সন্তানের বাবা। পাকিস্থানের সরকার মেয়ে দুটিকে উদ্ধার তো দূর উল্টে জিহাদিদের সাহায্য করতে নেমেছে।
এখন যে খবর আসছে তা আরো বেদনাদায়ক। এবার রিনা ও রবিনা নামক দুই হিন্দু কন্যাকে বোরখা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সারা জীবনের মতো এবার তারা কালো বোরখার মধ্যে বন্দি হয়ে থেকে গেল। খোলামেলা পরিবেশে থাকা হিন্দু মেয়েদের কাছে বোরখার মধ্যে বন্দি হয়ে থাকা কতটা যন্ত্রণার সেটা পীড়িতা মেয়ে একমাত্র বলতে পারে।
দুই নাবালিকাকে অপহরণ করে গোলাম বানিয়ে রাখা হলো।অপহরণ হওয়ার আগে এই মেয়েগুলি কোনোদিন বোরখা পরেনি ।তাদের পিতারা বোরখায় থাকতে বাধ্য করেনি ।কিন্তু আজ ওরা চিরজীবনের মতো বোরখায় বন্দি গোলাম।স্বাধীনতার পূর্বে পাকিস্তান এই ভারতেরই অংশ ছিল। এক সময় পাকিস্থানে ১০০% হিন্দু ছিল। ধীরে ধীরে জনসংখ্যার বিন্যাস দেখা যায়।
আর ধর্ম ও দেশ বিভাজনের পর থেকেই শুরু হয় তীব্র জিহাদী কার্যকলাপ।আজকাল পাকিস্থানে হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া অতিসাধারণ হয়ে গেছে ,অপহরণ করে তাদের সারাজীবনের জন্য বন্দি করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, হিন্দু মেয়েদেরকে বাচ্চা তৈরি করার মেশিন মনে করে জিহাদিরা বেশি সংখ্যায় বাচ্চা উৎপাদন করে। সেই বাচ্চাদের আতঙ্কবাদী তৈরি করে জিহাদের জন্য তথা ভারতের বিরুদ্ধে কাজে লাগায় গাজবা-এ-হিন্দ বাস্তবায়ন করার উদ্যেশে।