লাদেনের ছেলে হামজার খোঁজ দিলে মিলবে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার :ট্রাম্প প্রশাসন

লাদেনের পর তার ছেলে হামজা বিন লাদেন এর নাম আল-কায়দার প্রধান হিসেবে প্রকাশ পেতেই নড়েচড়ে বসেছে ট্রাম্প প্রশাসন। হামজার হদিশ পেতে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত পুরষ্কার ঘোষনা করেছে  মার্কিন বিদেশ দপ্তর। 

২০১১ সালে পাকিস্তানের খাইবার পাকতুনখাওয়ার অ্যাবোটাবাদে ঢুকে আমেরিকা নৌসেনার বিশেষ বাহিনী তৎকালীন আল-কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে খতম করেছিল । মার্কিন বিদেশ দপ্তর জানিয়েছে  হামজা বিন লাদেন ইন্টারনেটে অডিও এবং ভিডিও মেসেজের মাধ্যমে  তার অনুগামীদের  মার্কিন যুকরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমী জোট দেশ গুলোর উপর আঘাত হানতে বলেছে। এ কারণেই  মার্কিন প্রশাসন সতর্ক হতে চায় ।

ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আমেরিকাকে রক্তাক্ত করাই  এখন হামজা বিন লাদেনর মূল লক্ষ্য। ওসামার পর থেকে হামজা আল-কায়দার সন্ত্রাসের নতুন মুখ। ১৯৯২ সালে ইয়েমেনের আদেনে মার্কিন বাহিনীর উপর বোমা নিক্ষেপ বা ১৯৯৩ এ সোমালিয়ায় মার্কিন হেলিকপ্টারে হানা কিংবা ১৯৯৮এ নাইরোবির আমেরিকা দূতাবাসে আক্রমন সবেতেই আল-কায়দা জড়িত। তাই দেশকে নিরাপদ রাখতে এ বার হামজার  ডেরার খোঁজে মরিয়া ট্রাম্প প্রশাসন।

মার্কিন বিদেশ দপ্তর অনুযায়ী ২০০১ এর ৯/১১ হামলার অন্যতম পাণ্ডা ও বিমান ছিনতাইকারী মম্মদ আটার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে হামজার। হামজার বয়স ৩০ থেকে ৩৩ বছরের মধ্যে বলে তারা আশা করছে।

 ২০১৫ সালে এক অডিও বার্তায় হামজা বিন লাদেন ‘স্বাধীন প্যালেস্তাইন’গড়ার পথে সিরিয়ার জঙ্গিদের এক জোট হয়ে লড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

হামজা বিন লাদেন ওরফে ‘জিহাদের যুবরাজ’ (crown prince of jihad) কে কখনো  ইরানে নিজের মায়ের সঙ্গে গৃহবন্দি হয়ে থাকতে শোনা গিয়েছে আবার ক্‌খনো তার কোনও আত্মীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যে সে আফগানিস্থানে আছে। পাকিস্তান বা সিরিয়াতে থাকার খবরও কখনো প্রচার হয়েছে, তবে তার প্রকৃত অবস্থান কারোর কাছে পরিষ্কার নয়।

পর্যবেক্ষকদের মতে তেহেরানের মৌলবি শাসকরা সৌদি আরব ও  আল-কায়দাকে চাপে রাখতে এবং সুন্নি জঙ্গিদের হামলা থেকে ইরানকে বাঁচাতে হামজা বিন লাদেনকে  গৃহবন্দি করেছে।

মার্কিন বিদেশ দপ্তরের এক সন্ত্রাস মোকাবিলা ও সেই সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞের মতে  আল-কায়দা আগের তুলনায় শান্ত হয়েছে মনে হলেও, তারা আসলে কৌশলগত ভাবে একটু থেমেছে কিন্তু আত্মসমর্পন করেনি। ঐ বিশেষজ্ঞ আরো বলেন আল-কায়দা কোথাও আটকে পড়েনি বরং নিজেদের তৈরি করছে  এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগি পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলির উপর নিরন্তর হুমকি দিয়ে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.