পাকিস্তানকে আধিকারিক হিসেবে আতঙ্কবাদী দেশ ঘোষিত করা না হলেও বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আতঙ্কবাদজনিত ঘটনা ঘটলে তার লিংক পাকিস্তান পর্যন্ত যায়। এর কারণ আতঙ্কবাদীদের মূল লক্ষ জিহাদের মাধ্যমে গাজবা-এ-হিন্দ এবং তৎপর গাজবা-এ-আলম কায়েম করা। আর এই নীতি মেনেই পাকিস্তানি নামক দেশের সৃষ্টি হয়েছে। এখন শ্রীলঙ্কায় আতঙ্কবাদী হামলা নিয়ে বড়ো খবর সামনে আসছে। শ্রীলঙ্কায় যে ৮ সিরিয়াল বোমব্লাস্ট হয়েছে তাতে পাকিস্থানের লিংক আছে বলে খবর আসছে। শ্রীলঙ্কায় আতঙ্কবাদী হামলার পর এখন পাকিস্তানের থেকে বড় লিংক সামনে আসছে।
গোয়েন্দা সূত্রের সাথে সাথে মিডিয়া রিপোর্ট থেকেও এটা স্পষ্ট যে জাহারান হাশমি নামক আতঙ্কবাদী ন্যাশনাল তৈহিদ জামাতের বড়ো নেতা। একই সাথে জাহারান হাশমি একজন মৌলবী অর্থাৎ ইসলামিক ধর্মগুরু। জাহারান হাশমি সেই নেতা যে ২০১৮ সালে পাকিস্তান গেছিল। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে ISIS বেশকিছু সময় থেকে শ্রীলঙ্কাতে নিজেদের ঘাঁটি শক্তিশালী করছিল। ২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে যত গোয়েন্দা ধরা পড়েছে তারা সব ইসলামিক সংগঠমের সদস্য। এই সব গোয়েন্দারা এটা স্বীকার করেছিল যে, তারা কলম্বোর পাকিস্তানি দূতাবাস থেকে নির্দেশ পাচ্ছিল।
ভারত কূটনৈতিকভাবে শ্রীলঙ্কাকে সাবধান করেছিল। ভারত জানিয়েছিল যে শ্রীলঙ্কার মধ্যে ISIS এর প্রভাব বৃদ্ধি হচ্ছে তা ভারত ও শ্রীলঙ্কা দুই দেশের জন্যেই ভয়াবহ। নিউজিল্যান্ডের ঘটনার পর বিশ্বের সব দেশগুলি বিরোধ দেখিয়েছিল কিন্তু শ্রীলঙ্কার ঘটনা নিয়ে পাশ্চাত্যের দেশগুলি(আমেরিকা, ইউরোপ) এবং তাদের ফান্ডিংয়ে চলা মিডিয়া এড়িয়ে চলেছে।
যাইহোক ভারত শ্রীলঙ্কার সাথে সম্পর্কে রয়েছে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রীলঙ্কাকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। শ্রীলঙ্কার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত সামুদ্রিক প্রান্তে হাই এলার্টে রয়েছে। ভারতের সামুদ্রিক সুরক্ষা কড়া রাখা হয়েছে। এর কারণ বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে আতঙ্কবাদী হামলা হোক না কেন, আপাতত আতঙ্কবাদীদের মূল লক্ষ গাজবা-এ-হিন্দ তথা ভারতকে ইসলামীকরণ করা।