ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হল গুজরাতেও | শুনত অদ্ভুত লাগলেও সত্যি | তবে তা অন্য মোড়কে | ভ্যালেন্টাইনস ডে কে বাবা-মায়ের পুজোর দিন হিসেবে পালিত হল গুজরাতের সুরাতে | মাতরু পিতরু পুজান দিবস | হিন্দু সংস্কৃতিকে শিশুদের মনে ঢোকাতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল একেবারেই সরকারি উদ্যোগে | ২০০৭সালে বাপু তার আশ্রমে ২০০৭সালে এই বিকল্প ভ্যালেন্টাইনের চল শুরু করেছিলেন আশারাম বাপু | সেই রীতিকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে সার্কুলার জারি করা হয়
কীভাবে এই পুজো করা হবে তাও আগে থেকে বলে দেওয়া হয়েছিল | স্বরস্বতী বন্দনার মতই ফুল নিয়ে হাজির ছিল স্কুল পড়ুয়ারা | প্রদীপ জ্বালিয়ে তাদেরকে বলা হয় প্রত্যেকের বাবা মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে | এভাবেই কোথাও ভ্যালেন্টাইনের প্রেম বাবা মায়ের ভালোবাসার সঙ্গে মিলেমিসে এক হয়ে যায় কচিকাচাদের মধ্যে | সুরাতের মতই অন্য ভ্যালেন্টাইন উদযাপনের টুকরো ছবি ধরা পড়ল পশ্চিমবঙ্গেও |
এই দিনে মন্দিরে থাকা অসহায় বৃদ্ধ, বৃদ্ধা যারা ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনরকম দিন যাপন করা অবহেলিত মানুষগুলির জন্য এই বিশেষ ভালোবাসার দিনে এগিয়ে এল নদীয়ার কৃষ্ণনগরের যুবক নবকুমার গড়াই। চৈতন্য ভূমি তথা মন্দির নগরী নবদ্বীপের উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় স্থান পোড়ামা তলা, গৌরাঙ্গ মন্দির,রাধারানী মন্দির,জন্মস্থান মন্দির সহ বিভিন্ন মন্দিরের এইসব অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পা ছুঁয়ে প্রণাম করে ফুল এবং মিষ্টি দিয়ে ভালোবাসা জানালেন তিনি। তার এই মানবিক উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সেইসব অশীতিপর বৃদ্ধ-বৃদ্ধা|