নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া পাকিস্তানি মালালা ইউসুফজাই এর মুখোশ এবার গোটা বিশ্বের সামনে খুলে গেলো। নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর মালালা এখন নিজেই একজন ইসলামিক কট্টরপন্থীদের মোট আচরন করেছেন।
পাকিস্তানের মুলতান আর সিন্ধ প্রদেশে ৪ জন নাবালিকা মেয়েদের ইসলামিক কট্টরপন্থীরা অপহরণ করে, ওই চারজনই হিন্দু। আর তাঁদের সবার বয়স ১৪ বছরেরও কম।
ওই হিন্দু নাবালিকা মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হয়। ওই হিন্দু নাবালিকা মেয়েদের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই তাঁদের পরিজনের ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আর এই প্রসঙ্গ নিয়েই নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া মালালাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। মালালাকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে চরম বিরক্তি বোধ করেন তিনি।
মালালা নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার শোক পালন করছিল, আর তখন কয়েকজন ওনাকে পাকিস্তানে হিন্দু নাবালিকাদের ধর্মান্তকরণ আর অপহরণের বিরুদ্ধে কিছু বলার জন্য আবেদন করেন। তখন মালালা চরম ক্ষেপে গিয়ে তাঁদের টুইটারে ব্লক করে দেন। এই পুরো ঘটনাই ঘটেছে টুইটারে।
নিউজিল্যান্ডের হত্যাকাণ্ডে শোক পালন করা মালালা কে কৃষ্ণ নামের এক টুইটার ইউজার বলেছিল, ‘পাকিস্তানে হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করে তাঁদের ধর্ষণ করে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হচ্ছে।” কৃষ্ণর এই টুইটের পরেই মালালা ক্ষেপে গিয়ে কৃষ্ণকে টুইটারে ব্লক করে দেন!
মালালা পরিষ্কার বুঝিয়ে দেয় যে সে পাকিস্তানে হওয়া হিন্দুদের অত্যাচার নিয়ে কিছুই বলবে না। আর যে ওনাকে এই ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞাসা করবে, তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লক করবেন তিনি। ওনার এই আচরণ দেখে কেউ বলতেই পারবেনা যে, উনি বিশ্ব শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। বরঞ্চ এটা বলা যেতে পারে যে, উনি একজন ইসলামিক কট্টরপন্থীদের মোট আচরণ করছেন।