করোনা (corona)আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে হাজার হাজার গবেষকের। তাবড় তাবড় শক্তিধর রাষ্ট্রগুলির প্রশাসকদের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে পড়েছে। সকলেই ভাবছেন, কীভাবে রোখা যেতে পারে এই মারণ ভাইরাসকে? উত্তরটা এখনও বাকি বিশ্বের কাছে না পাওয়া গেলেও, বেশ বহাল তবিয়তে রয়েছে লাল চিন(china), যাতে উঠছে বেশ কিছু প্রশ্ন।
ধরে নেওয়া হচ্ছে চিনের উহান প্রদেশ থেকেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস। ইতালি (itali) , ফ্রান্স (france) থেকে শুরু করে আমেরিকা উন্নত বহু দেশে মৃত্যু হয়েছে প্রচুর মানুষের। সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা হিসেব করলে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭ লাখে।
তবে বেজিং বিশ্বকে জানিয়েছে, তারা একপ্রকার এই ভাইরাসকে কাবু করেছে। যেহেতু এই ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, তাই নানান প্রতিরোধ দিয়েই ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে এই ভাইরাসকে। এরপরেই বিশ্বব্যাপী নানান দেশ থেকে চিনের (china) কাছে অর্ডার আসে এই ভাইরাস প্রতিরোধজাত দ্রব্যের জন্য।
শোনা যাচ্ছে, চিনে নাকি বর্তমানে এমন বহু কারখানা গড়ে উঠেছে, যেখানে তৈরি হচ্ছে গ্লাভস, মাস্ক, স্যুট ইত্যাদি নানান দ্রব্য। সেগুলি বিদেশে রপ্তানিও করছে চিন (china) । বিনিময়ে আসছে প্রচুর বৈদেশিক ডলার। যার জেরে ক্রমেই স্থিতিশীল হচ্ছে চিনের (china) অর্থনীতি। অন্যদিকে ইতালি(itali), ফ্রান্স(france), আমেরিকার
(America)মতো দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে যে কৌশলে বাণিজ্যিক স্বার্থেই কী এই করোনা ভাইরাস উৎপন্ন করেছিল চিন?
প্রশ্ন উঠলেও এখনও কোনও প্রমাণ নেই। তাই কোনও উত্তরও নেই। তবে বিশ্ববাসীর চোখে ক্রমেই যেন ‘ভিলেন’ হয়ে উঠছে লালচিন। খোদ চিনের (china) তথ্য অনুসারে, ২.১৫ কোটি জনসংখ্যার শহর বেজিং-এ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৬৯ জন। যাদের মধ্যে প্রাণ গিয়েছে আট জনের। সাঙ্ঘাইয়ে করোনার কারণে প্রান হারিয়েছে পাঁচ জন। আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৬৮ জন। ওই শহরের জনসংখ্যা ২.৪০ কোটি। উহানে যখন এত লোক মারা গিয়েছে সেখানে ওই দেশেরই অপর দুই শহরে এত কম কী করে আক্রান্ত তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে কী সত্যিই চিন নিজেই ছড়িয়েছিল এই ভাইরাস?
চিনা (china) প্রশাসনের তরফে অবশ্য বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে মার্কিন সেনারা চিনকে (china) বদনাম করতে এই কাজ করেছে। যদিও চিনের এই অভিযোগ উড়িয়ে করোনা ভাইরাসের জন্য চিনকেই দায়ী করছে আমেরিকা।