শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ আতঙ্কবাদী হামলাকে কেন্দ্র করে একটা বড় খবর সামনে আসছে। শ্রীলঙ্কার সরকার আতঙ্কবাদী হামলাকে মাথায় রেখে বড়ো সিধান্ত নিতে চলেছে। ২১শে এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় ৮ টি বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে পুরো বিশ্ব আতঙ্কবাদ নিয়ে সতর্ক রয়েছে। শ্রীলঙ্কার হামলার দায় স্বীকার করেছে ন্যাশনাল তৈহিদ জামাত নামক এক ইসলামিক সংগঠন। জাহারান হাশমি নামক এক আত্নকবাদীর নেতৃত্বে এই হামলা করা হয়েছে বলে খবর। জানিয়ে দি, জাহারান হাশমি একজন মৌলিবী তথা ইসলামিক ধৰ্মগুরু। শ্রীলঙ্কার এই হামলাকে কেন্দ্র করে ISIS এবং পাকিস্থানেরও সংযোগ পাওয়া গেছে।
শ্রীলঙ্কার আতঙ্কবাদী হামলায় ইসলামিক সংগঠনের হাত রয়েছে এটা সমক্ষে আসা মাত্র শ্রীলঙ্কার সরকার একটা বড় সিধান্ত নিয়ে চলেছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার সরকার বোরখা নিষিদ্ধ করার জন্য সিধান্ত নিয়ে ফেলেছে। সরকারি স্তরে এনিয়ে সমস্থ আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে এখন শুধুমাত্র ঘোষণা বাকি। ঘোষণার আগে সরকার মসজিদ কর্তৃপক্ষের সাথে একবার আলোচনা করতে পারে বলে খবর। যেহেতু বোরখা মুসলিম মহিলারা পরে থাকেন, তাই সেটা নিষেধ করার আগে শ্রীলঙ্কার সরকার মসজিদ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে নিতে চাইছে। কারণ সরকারি ঘোষণার সাথে সাথে মসজিদ থেকেও এই ঘোষণা লাগু হলে তা অতি শীঘ্র কার্যকর হবে।
জানিয়ে দি, বোরখা পরা শ্রীলঙ্কার কোনো সংস্কৃতি নয়। ১৯৯০ সালের আগে শ্রীলঙ্কার মুসলিম মহিলারাও বোরখা পরতো না। কিন্তু ধীরে ধীরে শ্রীলঙ্কার মুসলিমরা শ্রীলঙ্কার সংস্কৃতি ছেড়ে আরবের সংস্কৃতি মানতে শুরু করেছে। সেই অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার মুসলিম মহিলাদের মধ্যে এখন বোরখা পরার সংস্কৃতি দেখা যায়। শ্রীলঙ্কার সরকার এখন বোরখা পরার উপর নিষেধাজ্ঞা লাগানোর সিধান্ত নিয়ে ফেলেছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, রবিবার দিন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপলা বোরখা ব্যান করার জন্য মন্ত্রীসভার মিটিং ডেকেছিলেন। সরকারের তরফে এটাও জানানো হয়েছে যে, বোরখা ব্যানের সিধান্ত তদন্তকারী সংস্থার নির্দেশে করা হচ্ছে। তাদের দাবি বোরখার আড়ালে হামলাকারীরা লুকিয়ে যেতে পারে তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা যাতে সঠিক কাজ করতে পারে এবং বোরখা তদন্তের মাঝে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্যেই এমন সিদ্ধান্ত বলে সরকার সূত্রে খবর। জানিয়ে দি, শ্রীলঙ্কায় ইসলামিক আতঙ্কবাদী হামলায় ৩২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ১০০০ জন আহত অবস্থায় রয়েছেন।