ইস্টার সানডের দিন শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে তিনটি চার্চ ও তিনটি হোটেলে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫৯ জন। তারপর থেকেই গোটা দেশ জুড়ে চলছে তল্লাশি। শুক্রবার তল্লাশি চলাকালীন গর্ভের সন্তান ও আরও তিন সন্তানকে নিয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেন এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড ইনসাফ আহমেদ ইব্রাহিমের স্ত্রী ফাতিমা ইব্রাহিম। শুক্রবার রাত থেকেই ফের গুলির লড়াই শুরু হয় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে জঙ্গিদের। এই লড়াইয়ে ১৫ জন জঙ্গি খতম হয়েছে বলে খবর। তাদের মধ্যে তিন মহিলা ও ছয় শিশুও ছিল। ১২ জন পুলিশের গুলিতে নিহত হলেও তিন জঙ্গি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেদের উড়িয়ে দিয়েছে বলে খবর। এই গুলির লড়াইয়ে অবশ্য নিরাপত্তারক্ষীদের কেউ হতাহত হননি।
শ্রীলঙ্কার পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে গোপন সূত্রে খবর আসে, আমপারার সাইন্থামারুথুতে লুকিয়ে রয়েছে বেশ কিছু আইসিস জঙ্গি। এই খবর পেয়ে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। সেনাকে দেখামাত্র গুলি চালায় জঙ্গিরা। শুরু হয় গুলির লড়াই। গোটা রাত ধরে এই গুলির লড়াই চলে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সুমিথ আতাপাত্তু জানিয়েছেন, “সেখানে নিরাপত্তারক্ষীরা পৌঁছনো মাত্র গুলি চালায় জঙ্গিরা। সেনা ও পুলিশও জবাব দেওয়া শুরু করে। ধীরে ধীরে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তারক্ষীরা। ১২ জন নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়। শেষ পর্যন্ত আর উপায় না থাকায় নিজেদের উড়িয়ে দেয় তিন জঙ্গি।” তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ১৫ জনের মধ্যে তিন জঙ্গি ইস্টার সানডের বিস্ফোরণে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল।