স্কুলের মধ্যেই ছিলেন। সেই সময় জঙ্গিদের গুলিতে বৃহস্পতিবার শ্রীনগরে মৃত্যু হল সরকারি স্কুলের দুই শিক্ষকের। তার ফলে গত তিনদিনে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় মোট পাঁচজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হল।
বহস্পতিবার সকালে পুরনো শ্রীনগরের ইদগাহ এলাকায় ছেলেদের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে মধ্যেই ছিলেন প্রধান শিক্ষক সীতন্দর কৌরি এবং শিক্ষক দীপক চাঁদ। সেই সময় তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সেই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিরেক্টর ডেনারেল (ডিজি) দিলবাগ সিং। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলা চালানোর যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তা লজ্জাজনক। তাঁরা একেবারেই নিরীহ মানুষ। সমাজের সেবায় যুক্ত ছিলেন তাঁরা। যাঁদের কোনও বিষয়ের সঙ্গে যোগ নেই, তাঁদের নিশানা করা হচ্ছে। ভয়ের পরিবেশ তৈরির জন্য এই কাজ করা হচ্ছে। কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে যে ভ্রাতৃ্ত্ববোধ আছে, তা নষ্ট করতে এই হামলায় সাম্প্রদায়িকতার বিষয়টি উত্থাপন করা হচ্ছে।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘সাধারণ নাগরিকদের কাশ্মীরের স্থানীয় মুসলিমদের কালিমালিপ্ত করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবারের ঘটনায় স্বভাবতই জম্মু ও কাশ্মীরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সেই হামলায় মেরেকেটে ৬০ ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ঘণ্টার ব্যবধানে জম্মু ও কাশ্মীরে পরপর হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। গুলিতে মৃত্যু হয় তিন সাধারণ নাগরিকের। মৃতদের মধ্যে ছিলেন কাশ্মীরি পণ্ডিত মাখনলাল বিন্দ্রু। যিনি শ্রীনগরে বিখ্যাত ওষুধ দোকান বিন্দ্রু মেডিকেটের মালিক। এছাড়াও বীরেন্দর নামে ওই ব্যক্তি ভেলপুরি বিক্রেতা এবং মহম্মদ শাফি নামে স্থানীয় ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের সভাপতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন, সেই ঘটনাগুলিতে একাধিক সূত্র পেয়েছে শ্রীনগর পুলিশ। শীঘ্রই দোষীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।