গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান ও গবেষণার নিরিখে এবার নয়া অভিযান শুরু করল ভারত। আমেরিকা, চিন সহ ৬টি দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলবে এই বিজ্ঞান গবেষণা। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং সমুদ্রায়ন নামে এই নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন. বিজ্ঞানের নিত্য় নতুন গবেষণায় ব্য়পকভাবে সাফল্য পেয়েছে ভারতবর্ষ।গগনায়ন প্রকল্পের আওতায় একজন ভারতীয় যখন পৌঁছে যাচ্ছেন মহাকাশে, তেমনই ভারতবর্ষের মানুষই এবার পৌঁছে যাবেন গভীর সমুদ্রে। এবার আর শুধু যন্ত্র নয়, বিজ্ঞানীরাও পৌঁছে যাবেন গভীর সমুদ্রে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর টুইটে লিখেছেন, এই প্রথম বিজ্ঞানীদের নিয়ে সমুদ্র যান যাবে। সমুদ্রায়নের সূচনা হয়েছে চেন্নাইতে। আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, ফ্রান্স চিনের সঙ্গেই এলিট ক্লাবে যোগ দিয়েছে ভারতও। আমাদেরও আন্ডারওয়াটার ভেহিকেল রয়েছে। সমুদ্র অভিযানের একটি নতুন চ্যাপ্টার খুলে গেল। সমুদ্রের জল থেকে পানীয় জল, শক্তি অর্জনের দিক নিয়ে গবেষণা হবে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এবার একঝলকে দেখে নেওয়া যাক সমুদ্রায়নের নানা দিক। ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ ওসান টেকনোলজির আওতায় এই প্রকল্প রূপায়িত হবে। মৎস্য-৬০০০ নামে গভীর সমুদ্রে যেতে পারে এমন জলযানে তিনজন চাপতে পারবেন। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এটি ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে সমুদ্রের গভীরে। এই সময়সীমাকে ৯৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া যাবে। এক হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার মিটার গভীরতায় গিয়েও এটি কাজ করতে পারবে। যেকোনও ধরনের ডিভাইস, সেন্সর নিয়ে এই জলযান গভীর সমুদ্রে চলে যেতে পারবে। আগামী ৫ বছরের সমুদ্র গবেষণার জন্য ইতিমধ্যেই ৪,০৭৭ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা করেছে সরকার।