বিধানসভায় মারপিঠ করার জেরে সাসপেন্ড হয়েছেন বিজেপির পাঁচ বিধায়ক। তার মধ্যে সবার আগে রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক অসিত মজুমদারকে ভরা সভায় মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন। রক্তারক্তি অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় সাসপেন্ড হয়ে আর চলতি বছরে বিধানসভার ভিতরে কথা বলতে পারবেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বাকি চার বিধায়কের ক্ষেত্রেও একই সাজা জানানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে বিধানসভার ভিতরে আওয়াজ তুলবে কে? কারণ বাকি সাসপেন্ড বিধায়করা হলেন—মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, পুরুলিয়ার বিধায়ক নরহরি মাহাতো, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ।
ঠিক কী বলেছেন বিরোধী দলনেতা? এদিন শুভেন্দু অধিকারী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বিধানসভায় তাকে কথা বলতে না দেওয়ার জন্যই এমন করা হয়েছে। যদি বিধানসভার ভিতরে না বলতে দেওয়া হয় তাহলে বাইরে বলার অনেক জায়গা রয়েছে। প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়ায়, মক পার্লামেন্ট করে পথে নেমে রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হবে।’
উল্লেখ্য, রামপুরহাট গণহত্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে অধিবেশনের শুরুতেই বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এই নিয়ে আলোচনা করার জন্য নোটিশ না আনায় তা খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা কক্ষ। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতির জেরে রক্ত ঝরে, নাক ফাটে, ছিঁড়ে যায় বিধায়কদের জামা, ভাঙে চশমাও।