পরিস্থিতি ভয়াবহ, জলপাইগুড়ির পর এবার মালদা, কেন জ্বর আসছে শিশুদের, কী করবেন?

ভাইরাল জ্বরে কাবু একের পর এক শিশু। গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভয়াবহ উদ্বেগ। পরিসংখ্যান বলছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যেই অন্তত ৭৬০জন শিশু ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।মালদার অন্তত ১৫জন শিশুর শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয় বুধবার। উত্তরদিনাজপুরে ১০জন, দক্ষিণ দিনাজপুরে ও দার্জিলিং জেলায় তিনজন করে ও কোচবিহারে একজন শিশুর শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। তবে তাদের সুস্থতার জন্য সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। 

এদিকে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এতদিন জলপাইগুড়িতে জ্বরে আক্রান্তের খবর মিলছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে মালদার নাম। মালদায় অন্তত ১৯৬জন শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এর সঙ্গে কয়েকজনের শ্বাসকষ্টও হচ্ছে। কোচবিহার, দুই দিনাজপুরেও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তবে স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি এর সঙ্গে করোনার কোনও সম্পর্ক নেই বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ টিম জলপাইগুড়ির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনে পাঠানো হয়েছে নমুনা।  এদিকে  সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই চারজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে মালদার দুজন, জলপাইগুড়ি ও উত্তরদিনাজপুরে একজন করে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কেন এভাবে জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে শিশুদের? কীভাবে রক্ষা পাবে শিশুরা?ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সুশ্রুতনগর ইউনিটের সেক্রেটারি তথা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত হিন্দুস্তান টাইমস ডিজিটাল বাংলাকে জানিয়েছেন, ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ তো রয়েছেই। তার সঙ্গেই স্ক্রাব টাইফাস ও ডেঙ্গুর বিষয়টিকেও মাথায় রাখা হচ্ছে। মশাবাহিত রোগ, ঠান্ডা লাগা, ভাইরাল সংক্রমণের ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতেই হবে। শ্বাসকষ্টের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। 

শিলিগুড়ির শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মৃদুলা চট্টোপাধ্যায় হিন্দুস্তান টাইমস ডিজিটাল বাংলাকে জানিয়েছেন, সর্দি কাশির সঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে বাচ্চারা। এটাও একটা ভাইরাল ফিভার। পেট খারাপও হচ্ছে বাচ্চাদের। শিশুর শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে অভিভাবকদের। একটু বড় বাচ্চাদের মাস্ক পরার অভ্যাস করতে হবে। বেশি করে জল খাওয়াতে হবে বাচ্চাদের। এটিকে ব্রনকিউলাইটিসও বলা হয়। তবে যে শিশুরা মারা গিয়েছে তাদের অন্যান্য সমস্যাও ছিল। ভাইরাল ফিভারে মৃত্যু হার অনেক কম। তবে জ্বরে আক্রান্তদের শিশুদের বেশ কষ্ট হচ্ছে। তিন চার বছর পর এরকম একটা ভাইরাল ফিভারের প্রকোপ হয়।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.