মোহনবাগান বা মহমেডানের মতো শুরুটা করতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচেই ড্র করতে হল তাদের। রেনবোর বিরুদ্ধে ০-০ ফলে শেষ হল খেলা। ড্রয়ের ধাক্কার পাশাপাশি আরও একটি ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল। চোটের কারণে প্রথমার্ধেই মাঠ ছাড়লেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক আদিত্য পাত্র। অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হল তাঁকে।
খেলার শুরুতেই রেনবোর আক্রমণ সামলাতে গিয়ে চোট লাগে আদিত্যের। সতীর্থ ডিফেন্ডার অতুল উন্নিকৃষ্ণণের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় আদিত্যের। মাঠেই দু’জনকে বেশ কিছু ক্ষণ পড়ে থাকতে দেখা যায়। চিকিৎসক মাঠে গিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন দু’জনকে। তখনকার মতো আদিত্য উঠে দাঁড়ালেও বেশি ক্ষণ খেলতে পারেননি। তাঁর শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। ফলে ২০ মিনিটের মাথায় গোলরক্ষককে তুলে নেন লাল-হলুদ কোচ বিনো জর্জ। মাঠ থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরিবর্ত গোলরক্ষক মহম্মদ নিশাদ মাঠে নামেন।
ম্যাচের ন’মিনিটের মাথায় সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তিন বারের চেষ্টাতেও গোল করতে পারেনি তারা। সেই গোল বাঁচাতে গিয়ে রেনবোর গোলরক্ষক সত্যব্রত মান্নাও চোট পান। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরে উঠে দাঁড়ান তিনি।
প্রথমার্ধে বেশি আক্রমণ করছিল রেনবো। একের পর এক সুযোগ তৈরি করে তারা। কিন্তু গোল আসছিল না। ২৪ মিনিটের মাথায় পরিবর্ত গোলরক্ষক নিশাদ ভাল সেভ না করলে সমস্যায় পড়ত লাল-হলুদ। বিরতির ঠিক আগে একটি সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু গোল করতে পারেনি তারা। সার্থক গলুইয়ের শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। তার পরে রেনবোও একটি সুযোগ পায়। কিন্তু নিশাদের হাত বাঁচিয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গলকে। গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধেই শুরুতেই একটি সহজ সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। গোলের সামনে বল সাজিয়ে দেন কুশ ছেত্রী। কিন্তু মহম্মদ নিয়াস গোল করতে পারেননি। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে খেলায় ফেরে রেনবো। তারা যত আক্রমণ করতে থাকে তত চাপে পড়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এলোমেলো ফুটবল খেলে তারা। লাল-হলুদের খেলা দেখে হতাশ সমর্থকেরা। যেখানে বাকি দুই প্রধান দুরন্ত ফুটবল খেলছেন সেখানে ইস্টবেঙ্গলের খেলার মান দেখে চিন্তা বাড়বে সমর্থকদের।
শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনও দল। ফলে প্রথম ম্যাচেই পয়েন্ট নষ্ট করতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। আইএসএলে গত কয়েক বছরে লাল-হলুদের পারফরম্যান্স খারাপ। কলকাতা লিগে তাদের কাছে ভাল ফুটবল আশা করেছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু সেখানেও হতাশ হতে হল তাঁদের।