বুধবার মায়ানমার জুড়ে বিভিন্ন রাজপথে সামরিক শাসনের প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন জনতা। হাজার হাজার মানুষ পথে প্রতিবাদে নামলেন জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে। রাজধানী ইয়াঙ্গন থেকে মান্দালয়, নাওপিদাও থেকে সর্বত্র, কয়েক লক্ষ মানুষ এদিন সেনা শাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ h দেখালেন। রাষ্ট্রসংঘের বিশেষজ্ঞ টম অ্যান্ড্রুজ জানিয়েছেন, তাঁর কাছে সূত্রের খবর আছে, সেনা দিয়ে ইয়াঙ্গনে প্রতিবাদীদের দমন করা হবে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, “গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর যেভাবে দিন দিন রাজধানীতে প্রতিবাদের আগুন বাড়ছে তাতে এবার সেনা দিয়ে দমন করা হবে। শুধু ইয়াঙ্গনেই নয়, গোটা দেশেই দমননীতি প্রয়োগ করবে জুন্টা সরকার। অতীতে এমন দমননীতির ফল হত গণহত্যা, গুম করে দেওয়া এবং ব্যাপক হারে কারাবাস।”
রাষ্ট্রসংঘে মায়ানমারের বিশেষ প্রতিনিধিও এই নিয়ে উদ্বিগ্ন। ক্রিস্টিন শ্রানার বার্গেনার জানিয়েছেন, “এটা ভুললে চলবে না দেশে এখনও ২১টি সশস্ত্র জনজাতি গোষ্ঠী রয়েছে। তারা কিন্তু সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে। তাই হিংসা-হানাহানির আশঙ্কা অমূলক নয়। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।”
বার্মিজ সমাজকর্মী ফিউ ফিউ থাউ জানিয়েছেন, “সেনাকে আর ভয় পাই না আমরা। দেশে অসহযোগিতা আন্দোলন চলছে। সেনা শাসন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত এই গণ আন্দোলন জারি থাকবে। দীর্ঘদিন আমরা সামরিক শাসনে ছিলাম। কিন্তু এবার এটা শেষ হওয়া দরকার। আমরা প্রকৃত গণতন্ত্র চাই। দেশে আর সামরিক শাসন চাই না।”
এদিকে, জনগণের কণ্ঠরোধ করতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যাতে প্রতিবাদের ভাষা সবার কাছে পৌঁছতে না পারে তার জন্য দেশের বিভিন্ন শহরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। বন্দি নেত্রী আং সান সু কি-র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির মুখপাত্র কি তো জানিয়েছেন, দলের ফেসবুক পেজে সামরিক শাসন শেষ করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। সেনার শাসনে দেশের যুব সম্প্রদায় এবং ভবিষ্যত অন্ধকার।