Supreme Court, Election Commission, কারচুপির অভিযোগ উঠেছে! নির্বাচন কমিশনকে চুড়ান্ত ভোটদানের হার প্রকাশের সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট

প্রথম দুই দফা ভোটের হার নিয়ে গড়মিলের অভিযোগে তুলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলের নেতারা। শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলাও করেছিলেন তারা। এরপর সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে ভোটের হার প্রকাশের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দিল।

আদালত জানিয়েছে, আগামী চার দফা ভোটের ক্ষেত্রে নির্বাচন শেষের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রদত্ত চুড়ান্ত ভোটদানের হার জানাতে হবে কমিশনকে। দেশে প্রথম দফায় ভোট হয়েছে ১৯ এপ্রিল। শীর্ষ আদালতে দায়ের হওয়া অভিযোগ জানানো হয়েছে প্রথম দফা ভোটের ১১ দিন পর কমিশন ভোটে চুড়ান্ত পরিসংখ্যান সামনে এনেছিল। একইভাবে দ্বিতীয় দফার ভোটের চার দিন পর পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। সাধারণত ভোটের দিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কোথায় কত ভোট পড়ল তা নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্বাচনের দিনই প্রকাশ করা হয়। পরে চূড়ান্ত ভোটের হার জানানো হয়। এক্ষেত্রে প্রথম দুটি দফার ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে সাত শতাংশ ভোট বৃদ্ধির ঘটনায় কারচুপির অভিযোগ করে বিরোধীরা সরব হয়েছিলেন।

বিরোধী দলের নেতাদের অভিযোগ ছিল, বিকেল পাঁচটার পর ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যারা ভোটের লাইনে থাকেন, সেই সংখ্যাটাই পরে চুড়ান্ত তালিকার সঙ্গে যুক্ত হয়। কিন্তু কোনভাবেই ওই ভোটের হার শতকরা ৫ থেকে ৭ শতাংশ হওয়া সম্ভব নয়। বিরোধীদের আরো অভিযোগ, যেখানে বিজেপির পক্ষে কম ভোট পড়েছে মনে হচ্ছিল ঠাৎ করে কমিশন নোটিশ জারি করে সেখানে ভোট বাড়িয়ে দিয়েছে।

এরপরই কমিশনের প্রকাশিত চুড়ান্ত ভোটের হারে কারচুপির অভিযোগে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। শুনানিতে কমিশনের তরফে আদালতের কাছে জানানো হয়, চুড়ান্ত ভোটের তালিকা তৈরীর ক্ষেত্রে কিছু অফিসিয়াল কাজকর্ম থাকে, সেগুলি শেষ করতে ভোটের পর আরো একটি দিন চলে যায়।

এরপরে আদালত জানায় ভোট শেষের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চুড়ান্ত ভোটের হার প্রকাশ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.