কেন সব খবরের কাগজের প্রথম পাতায় মোদীর বিজ্ঞাপন থাকবে? এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ভাটপাড়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর পাল্টায় পথপ্রচার সর্বস্ব নেত্রী বলে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার ভাটপাড়ার জিলাপির মাঠে প্রধানমন্ত্রীর সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এর পরে হয়তো লোক নিজের বউয়ের মুখই ভুলে যাবে।
রবিবার ভাটপাড়ার সভা থেকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সব জায়গায় নিজের পোস্টার লাগিয়েছেন। কলকাতার মতো জায়গায় বড় বড় অ্যাড এজেন্সি গুলিকে হুমকি দিয়ে রেখেছেন। হোডিং ভাড়া দেওয়া যাবে না। কার্ট আউট লাগানোর জায়গা নেই। কলকাতার মানুষ ফ্লাইওভারে উঠছে, মমতার মুখ। ফ্লাইওভার থেকে নামছে, মমতার মুখ। বাথরুমে যাচ্ছে, মমতার মুখ। সব জায়গায় মমতার মুখ। এরপর লোকে নিজের বউয়ের মুখ ভুলে যাবে। বউয়ের মধ্যেও মমতার মুখ দেখতে পাবে। দিনে রাতে শুধু মুখ্যমন্ত্রীর মুখই আমাদের দেখতে হচ্ছে। আর কারো মুখ উনি দেখতে দেবেন না। সব জায়গায় শুধু নিজের মুখ আর নিজের প্রচার।
কিছুদিন ধরেই সংবাদপত্রে বিজেপির প্রচার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ শানাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন সমস্ত খবরের কাগজের প্রথম পাতায় বিজেপির বিজ্ঞাপন থাকবে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আজ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে লাগু না করা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “আয়ুষ্মান ভারত যখন চালু হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন আয়ুষ্মান ভারত চালু করতে দেব না। বলেছেন কার্ডের ওপরে মোদীর ছবি থাকবে কেন? আরে দিদি এটাতো ভারতবর্ষ, যখন আয়ুষ্মান ভারত চালু হয়েছিল তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ছিলেন। ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আপনি কি চাইছেন? আয়ুষ্মান ভারতের কার্ডে নরেন্দ্র মোদীর ছবি বাদ দিয়ে কি ইমরান খানের ছবি লাগাতে হবে? ভারতবর্ষের কার্ডে তো ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকবে নাকি?”