Sukanta, BJP, সেই ভোটারকেই বেশি গুরুত্ব দেব যারা আমাদের ভোট দেয়: সুকান্ত মজুমদার

রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় রাজ্য ভাগ, কোন ভোটারদের বঙ্গ বিজেপি গুরুত্ব দেবে, দলের নীতি নিয়ে নেতাদের প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ সহ একাধিক ইস্যুতে সপাটে জবাব দিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিলেন, যারা বিজেপিকে ভোট দেবে তাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। একই সঙ্গে রাজ্য ভাগ বিতর্কে জল ঢেলে নিজের ও দলের অবস্থান খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।

শুভেন্দু অধিকারীর সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা তাদেরই ভোট আনতে পারব যারা আমাদের ভোট দেয়। যারা ভোট দেয় না, তাদের ভোট আনতে পারবো না।” বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভোটদানকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “যদি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভোট হয় সেটা ভালো ভোট হবে। এখানে তো ভোটের নামে প্রহসন হয়। আমরা সবাইকেই ভোট দানের কথা বলব আমাদের ভোট দিতে বলব, কিন্তু কিছু মানুষ যদি না দেয় কি করার আছে? আমরা সেই ভোটারদেরকেই বেশি গুরুত্ব দেব, যে আমাদের ভোট দেবে, সে হিন্দু হোক বা মুসলিম।”

এদিকে উত্তর বঙ্গের ৮ জেলাকে উত্তর পূর্ব উন্নয়ন পরিষদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজ্যে। তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার এর মাধ্যমে রাজ্য ভাগের ষড়যন্ত্র করছেন। এই ইস্যুতে সুকান্ত মজুমদার পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন,
বাংলা ভাগের কথা তিনি বলেননি। পশ্চিমবঙ্গের অংশ হিসেবে উত্তর-পূর্ব পর্ষদের সঙ্গে জোড়ার কথা তিনি বলেছিলেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির তৈরি করা বাংলাই তারা রাখতে চান। সেটাই দলের অবস্থান।

নিজের দলের সাংসদের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের সাংসদরা অত্যন্ত অ্যাকটিভ। তারা তাদের এলাকার দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন, আবেদন করছেন, যাতে কাজ হয়।

একই সঙ্গে উত্তর পূর্ব উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সুকান্ত মজুমদার জানান, চা বোর্ডের নতুন প্রকল্প আসছে যা ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়েছে। অসম এবং ডুয়ার্সে চা শ্রমিকদের আগামী দিনে এই চা প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। চা শ্রমিকদের প্রকল্পের জন্য আলাদা করে বরাদ্দ হয়েছে।

সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপির অনেক সাংসদকে দলের নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন,
“আপনাদের অসন্তোষ থাকতে পারে, আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন, অন্য কারো সাথে দ্বিমত হতে পারে, কিন্তু আপনার সমস্ত কিছু আপনি দলের মধ্যে বলুন। পাটির মধ্যে বলার ব্যবস্থা আছে। আপনি সেখানেই বলুন।” তিনি পরামর্শ দেন, তাদের মাথায় যদি কোনো পরিকল্পনা থাকে তাহলে চিঠি লিখে দলের সর্বোচ্চ স্থানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানানো যেতে পারে। প্রকাশে মিডিয়াতে বলার কোনো প্রয়োজন নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.