নাগাড়ে বৃষ্টি এবং ডিভিসি’র জল ছাড়ায় ভাসাভাসি অবস্থা হয়েছে বর্ধমানের গ্রামগুলিতে। বহু কাঁচা বাড়ি কার্যত তলিয়ে গিয়েছে। অজয় নদীর জল গ্রাস করেছে গ্রামের পর গ্রাম। গৃহহীন হয়েছে শয়ে শয়ে মানুষ। এখন এক চিলতে আশ্রয়ের জন্য হাহাকার করছেন। তবে ত্রিপল আর চিঁড়ে–গুড়ের ভরসায় দিন–গুজরান করছেন আউশগ্রামের বাসিন্দারা। আর যাঁরা কপালের জোরে এই বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছেন তাঁদের জন্য উপস্থিত হয়েছে নয়া বিপদ। কারণ তাঁদের ঘরে বসত করছে বিষধর সাপ। তাই প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই সাপের সঙ্গে মানুষকে বাস করতে হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে এখন এটাই চর্চিত বিষয়।
মেঘভাঙা বৃষ্টি আর ডিভিসির জল ছাড়ার যৌথ দাপটে বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার জেরে আউশগ্রামের ভেদিয়া অঞ্চলে অজয় নদের বাঁধ ভেঙে যায়। আর তা ভেঙে যেতেই সাতলা, ধুকুর বাগবাটি, বঙ্গপল্লী–সহ গ্রামের পর গ্রাম জলের তলায় চলে যায়। চরমে ওঠে মানুষের দুর্ভোগ। বাঁধের উপরেই কষ্ট করে পরিবার নিয়ে ঠাঁই নেন আউশগ্রামের বহু মানুষ।
চারিদিকে শুধু জল আর জল। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পানীয় জলের কষ্ট। সবমিলিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন গ্রামের মানুষজন। ধুকুর গ্রামে ভয়ে ভয়ে বাঁধের উপর বসবাস করতে দেখা যাচ্ছে মানুষজন। কারণ ঘর যে তলিয়ে গিয়েছে। অজয়ের জলে শেষ সম্বলটুকুও ভেসে গিয়েছে। কোনও কিছুই বাঁচাতে পারেননি তাঁরা। চিঁড়ে, মুড়িই তাই পেটের জ্বালার ভরসা।
এখানে সরকারি কিছু সাহায্য এসে পৌঁছেছে। তবে সেটা সকলের জন্য যথেষ্ট নয়। এই পরিস্থিতির সঙ্গে যোগ হয়েছে সাপের উপদ্রব। যথেষ্ট আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন মানুষজন। ঘরে রোজই একাধিক সাপ ঢুকে পড়ছে। প্রাণ ভয়ে তাড়া করতে হচ্ছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবার একই অবস্থা বলে জানালেন সেখানকার একাধিক বাসিন্দারা।