চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে লখনউকে জয়ে ফেরাল রাহুলের ব্যাট, কাজে এল না ধোনির লড়াই

চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে সহজ জয় তুলে নিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল প্রথমে ব্যাট করে তোলে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান। জবাবে লোকেশ রাহুলেরা ১৯ ওভারে ২ উইকেটে তুলল ১৮০ রান।

পর পর দুই ম্যাচে হারের পর ঘরের মাঠে জয় পেল লখনউ। টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন লখনউ অধিনায়ক রাহুল। গ্রিন পার্কের ২২ গজে চেন্নাইয়ের ইনিংসের শুরুটা ভাল হয়নি। তবু তারা লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছয় আট নম্বরে নামা মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ৯ বলে ২৮ রানের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে।

জয়ের জন্য ১৭৭ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে লখনউ ১৫ ওভারে তুলল ১৩৪ রান। কুইন্টন ডিকক করলেন ৪৩ বলে ৫৪ রান। ৫টি চার এবং ১টি ছয় মারলেন তিনি। রাহুলের সঙ্গে তাঁর এই জুটি এ বারের আইপিএলে ওপেনিং জুটিগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ। তাঁদের জুটিতেই লখনউয়ের জয় এক রকম নিশ্চিত হয়ে যায়। ডিকক আউট হওয়ার পর রাহুলের সঙ্গে যোগ দেন নিকোলাস পুরান। তাঁরা দু’জনে দলকে প্রায় জয়ের দরজায় পৌঁছে দিলেন। অনবদ্য ইনিংস খেলে দলের গুরুত্বপূ্র্ণ জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন রাহুল। শেষ পর্যন্ত তিনি করলেন ৫৩ বলে ৮২ রান। ৯টি চার এবং ৩টি ছয় দিয়ে সাজালেন নিজের ইনিংস। পুরান করলেন ১২ বলে ২৩ রান। অপরাজিত ইনিংসে তিনি মারলেন ৩টি চার এবং ১টি ছয়। চার নম্বরে নেমে মার্কাস স্টোইনিস অপরাজিত থাকলেন ৮ রান করে। চেন্নাইয়ে কোনও বোলারই এ দিন তেমন নজ কাটতে পারলেন না। ১টি করে উইকেট নিলেন মাথিসা পাতিরানা এবং মুস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে চেন্নাইয়ের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান রাচিন রবীন্দ্র (শূন্য)। তিন নম্বরে নেমে রান পেলেন না অধিনায়ক রুতুরাজও। তিনি করলেন ১৩ বলে ১৭ রান। চার নম্বরে নেমে দলের ইনিংসকে ভরসা দিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। উইকেটের অন্য প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন অপর ওপেনার অজিঙ্ক রাহানে। তিনি ৫টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে করলেন ২৪ বলে ৩৬ রান। শিবম দুবে (৩), সমীর রিজ়ভিরা (১) দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ায় আবার চাপে পড়ে যায় চেন্নাইয়ে ইনিংস। ফলে রান তোলার গতি মাঝের ওভারগুলিতে বাড়াতে পারেনি চেন্নাই। সাত নম্বরে নেমে কিছুটা লড়াই করলেন মইন আলি। ইংরেজ ক্রিকেটার ৩টি ছয়ের সাহায্যে ২০ বলে ৩০ রানে ইনিংস খেললেন। শেষ দিকে নেমে জাডেজার সঙ্গে জুটি বেধে দ্রুত রান তুললেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তাঁরাই চেন্নাইকে পৌঁছে দিলেন লড়াই করার মতো জায়গায়। জাডেজা শেষ পর্যন্ত করলেন অপরাজিত ৫৭। ৪০ বলের ইনিংসে জাডেজা মারলেন ৫টি চার এবং ১টি ছক্কা। ধোনি নিজের ২৮ রানের ইনিংসটি সাজালেন ৩টি চার এবং ২টি ছয় দিয়ে।

লখনউয়ের সফলতম বোলার ক্রুণাল পাণ্ড্য ১৬ রানে ২ উইকেট নিলেন। ৭ রানে ১ উইকেট স্টোইনিসের। ৩৭ রানে ১ উইকেট মহসিন খানের। ১টি করে উইকেট পেলেন যশ ঠাকুর এবং রবি বিষ্ণোইও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.