যে হারে সবকিছুর দাম বাড়ছে, এফডি করা লোকসানের হয়ে যাচ্ছে।
অনেকেই আছেন যারা বাজারে টাকা খাটান না। ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখেন। এমনকী সেই সুদের ওপর নির্ভর করে অনেকের সংসারও চলে, বিশেষত বয়স্কদের। কিন্তু জানেন কী, ফিক্সড ডিপোজিটে বর্তমানে টাকা রেখে তেমন লাভ নেই। মুদ্রাস্ফীতির হার এখন ফিক্সড ডিপোজিটের থেকে বেশি। অর্থাৎ বাস্তবে আপনি নেতিবাচক সুদ পাচ্ছেন, অর্থাৎ ক্ষতি হচ্ছে আপনার। বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে পুরো বিষয়টি? তাহলে ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা রইল আপনাদের জন্য।
চলতি অর্থবর্ষে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৫.৩ শতাংশ থাকবে। অন্যদিকে এক বছরের ফিক্সডের ওপর স্টেট ব্যাঙ্ক সুদ দেয় পাঁচ শতাংশ। অর্থাৎ বাস্তবিকে আপনার সুদের হার হবে -০.৩ শতাংশ। এবার ধরুন আপনি দুই বা তিন বছরের জন্য টাকা রেখেছেন। তাতেও আপনার সুদ আসবে ৫.১ শতাংশ। অর্থাৎ যতটাকা আপনার বেশি খরচ হচ্ছে জিনিসপত্র কেনাকাটায়, তার থেকে কম টাকা আপনি সুদ পাচ্ছেন। মোটের ওপর ক্ষতি হচ্ছে। বেসরকারি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতিটি কম বেশি একই। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
অন্যদিকে ক্ষুদ্র পুঁজির ওপর যে সব স্কিমগুলি আছে, তাতে ৫.৫ শতাংশ সুদ দিচ্ছে সরকার যেটা অন্তত মুদ্রাস্ফীতির হারের থেকে বেশি। অর্থাৎ কাটাকুটি করে কিছু টাকা তাও ঘরে ঢুকছে। সেই কারণে এফডি থেকে টাকাটা কিষাণ বিকাশ পত্র সহ বিভিন্ন সরকারি সেভিং স্কিমে নিয়ে যেতে পারেন। তাহলে কিছুটা বেশি টাকা আসবে।
বর্তমান বিশ্বজনীন আর্থিক পরিস্থিতিতে রিয়েল রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট বেশ কিছুদিন নেতিবাচক থাকবে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তাদের মতে অর্থনীতি চাঙ্গা হলেই পরিস্থিতি শুধরাতে পারে। ততদিন অবধি ব্যাঙ্কে টাকা ফেলে রাখলে বিশেষ কোনও সুবিধা হবে না। এই জন্যই ধীরে ধীরে কিছুটা ঝুঁকি থাকলেও অনেকে মিউচুয়াল ফান্ড ও ইক্যুইটির দিকে ঝুঁকছেন।