জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারি কর্মীরা যতক্ষণ না ‘ভিজিলেন্স ক্লিয়ারেন্স’ পাচ্ছেন, ততক্ষণ তাঁদের নামে পাসপোর্ট ইস্যু না করার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। কোনও সরকারি কর্মী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে তাঁর সংশ্লিষ্ট দফতরের ক্লিয়ারেন্স পেতে হবে তাঁকে। তারপরই তাঁর নামে পাসপোর্ট ইস্যুর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরের কোনও সরকারি কর্মচারীকে নিজের ঊর্ধ্বতন কর্তাকে অবগত করতে হবে যে তিনি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন। এরপর কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স কমিশন এবং বিদেশ মন্ত্রকের পরামর্শ নিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ মন্ত্রক ভিজিলেন্স ছাড়পত্র দেবে পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে। আগে শুধুমাত্র ঊর্ধ্বতন কর্তাকে পাসপোর্টের আবেদনের বিষয়ে জানাতে হত।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন দফতরকে ক্ষমতা দিয়েছে যাতে কোনও কর্মচারী বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট ইস্যু করার আবেদন জানালে সেই সংক্রান্ত অনুমোদন আটকে রাখা যায়। যদি সংশ্লিষ্ট কর্মচারী সাসপেন্ডেড থাকেন, ফৌজদারি মামলায় তদন্তকারী কোনও সংস্থার চার্জশিটে তাঁর নাম থাকে বা তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি দুর্নীতির মামলা থেকে থাকেসেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দফতর ক্ষমতাবলে পাসপোর্ট ইস্যু করার আবেদন আটকাতে পারত। তবে এই নিয়ম প্রকৃত পক্ষে লাগু করা হয়নি উপত্যকায়। তাই নতুন করে কঠোর ভিজিলেন্স ছাড়পত্রের নিয়ম লাগু করা হয়েছে।
এর আগে অগস্টে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সিআইডি-র তরফে জানানো হয়েছিল যে এখন থেকে যেসকল ব্যক্তি পাথর ছোঁড়া বা অন্য কোনও অপরাধমূলক মামলার সঙ্গে যুক্ত থাকবে, তাদেরকে চাকরির ছাড় বা পাসপোর্ট দেওয়া হবে না।