গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে বহুজাতিক সংস্থার কর্তা ও তাঁর চালক খুনে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। যা থেকে লালবাজারের গোয়েন্দাদের দাবি, একাধিক ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন এই খুনে। সঙ্গে লুঠের উদ্দেশেই খুন বলে মোটের ওপর নিশ্চিত তাঁরা। খুনিকে সনাক্ত করতে একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা।
কাঁকুলিয়া রোডে বহুজাতিক সংস্থার কর্তা সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ির তালক রবীন মণ্ডলের খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা ও ডাকাতিদমন শাখা। সোমবার ওই বাড়িতে পুলিশ কুকুর নিয়ে যান গোয়েন্দারা। কুকুরটি ঘটনাস্থল থেকে বালিগঞ্জ রেল স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঘুরে ঘটনাস্থলে ফেরত চলে যায়। যা থেকে গোয়েন্দাদের অনুমান খুনিরা ট্রেনে করে পালিয়েছে। এর পর বালিগঞ্জ স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করতে নেমেছেন তাঁরা।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
গোয়েন্দাদের অনুমান, রবিবার ৭৮/এ কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়িতে আসার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে খুন হন সুবীরবাবু ও তাঁর গাড়ির চালক। প্রথমে গলা কেটে খুন করা হয় সুবীরবাবুকে। তার পর কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলকে।
গোয়েন্দাদের অনুমান, বাড়ি বিক্রি করতে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন সুবীরবাবু। সেজন্য নিউ টাউন থেকে বাড়ির নথি নিয়ে এসেছিলেন গড়িয়াহাটে। কিন্তু সেই নথি গাড়িতেই ছিল। প্রশ্ন হল, তবে কি কারও কাছ থেকে নগদে বায়নার টাকা নিয়েছিলেন সুবীর চাকি? সেই টাকা হাতাতেই ২টি খুন?