করোনা কালে অনেক জায়গাতেই অনলাইন ক্লাস হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি হল রাজ্যের এখনও অনেক স্কুলেই কম্পিউটার নেই। এমনটাই উঠে এসেছে সরকারি পরিসংখ্যানের। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষা সেইভাবে পৌঁছাচ্ছে না। এর ফলে স্কুল ছুটের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই বিশেষজ্ঞমহলের মত।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা মিশনের ২০১৯–২০ বর্ষের একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেই তথ্যে দেখা যাচ্ছে, মাধ্যমিক স্তরে ৭৮.৫৮ শতাংশ স্কুলে কম্পিউটার আছে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৯০.৫৬ শতাংশ স্কুলে কম্পিউটার রয়েছে। অনেক স্কুলেই এখনও পর্যন্ত কম্পিউটার পৌঁছায়নি। ফলে সেইসব জায়গায় করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থাও থমকে রয়েছে। রিপোর্টে উঠে এসেছে, ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরে স্কুল ছুটের পরিমাণ ৪.২৮ শতাংশ। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে স্কুল ছুটের পরিমাণ ৭.২৭ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত দেড় বছর ধরে অনেক পড়ুয়ারাঅ স্কুলে যেতে পারেননি। ফলে রাজ্যে স্কুল ছুটের পরিমাণও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, শিক্ষক ও পড়ুয়ার অনুপাত অনুযায়ী প্রাথমিকে ২১ জন পড়ুয়ার জন্য রয়েছেন একজন শিক্ষক। মাধ্যমিকে ১৯ জন পড়ুয়ার জন্য একজন শিক্ষক রয়েছেন। পড়ুয়াদের তুলনায় শিক্ষকদের সংখ্যা কম। ক্লাসরুম ও পড়ুয়ার অনুপাতও উঠে এসেছে এই সমীক্ষায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রাথমিকে ২১ জন পড়ুয়াদের জন্য একটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। অন্যদিকে উচ্চ প্রাথমিকে ৪৩ জন পড়ুয়াদের জন্য একটি শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ রয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিকে ৫৪ জনের জন্য একটি শ্রেণিকক্ষ। শ্রেণিকক্ষের সঙ্গে পড়ুয়াদের অনুপাতও যে সন্তোষজনক নয়, সেই কথাও সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে।