পরের ধনে পোদ্দারি করে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সন্ত্রাস কবলিত কুলতলিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত এদিন আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং নিরাপত্তার আশ্বাস দেন।
মনোনয় পেশ করার পর থেকেই কুলতলিতে একের পর এক বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েই চলেছে বলে অভিযোগ। তাদের ঘর ছাড়া করার হুমকি, খুন ও মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা জানিয়েছেন তাদের নেতাকে।
সন্ত্রাস কবলিত কুলতলিতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আক্রান্ত পরিবারগুলির পাশে সবসময় আছেন বলে আশ্বাস দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কথা দেন কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের এলাকায় মোতায়েন যাতে করা হয় সেটা তিনি দেখবেন।
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্ত। বগটুই বা করমন্ডল দুর্ঘটনাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, রাজ্যের ভান্ডার শূন্য। কেন্দ্রের টাকায় পরের ধনে পোদ্দারি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই যে এখানে তৃণমূলের নেতারা সব বড়লোক হয়েছে কিভাবে?সবটাই কেন্দ্রের পাঠানো টাকায়। ১০০ দিনের কাজের টাকা কিভাবে লুট হয়েছে তা গ্রামবাসী বলছে। একজনের নামে অন্যজনের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। বাড়ি দেবে বলে এক একজনের কাছ থেকে কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার টাকা করে নিয়েছে। একটা পঞ্চায়েতের ৮৩ কোটি টাকার ঘাপলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা তালিকা অনুসারে রাজ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৃণমূলের জয় সবচেয়ে বেশি হয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায়। এই জেলায় ২৪% আসনে বিরোধীরা কোনো প্রার্থী দিতে পারেনি। আবার প্রার্থী দিলেও মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে অনেকেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যেভাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে তা নজরে এসেছে আদালতেরও। আবার এই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে সাংসদ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।