এক বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন তরুণী। উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁর মৃতদেহ। কিন্তু সমাধান হয়নি সেই হত্যাকাণ্ড। এক বছর পর সেই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের কিনারা করল পুলিস। তাও আবার, সেই তরুণীর হাতের ট্যাটু করিয়ে দিল তার পরিচয়। জানা গিয়েছে, তরুণীকে খুন করেছিল তাঁরই বয়ফ্রেন্ড। সেই ঘটনায় জড়িত ছিল অভিযুক্তের আরও দুই বন্ধু। ইতোমধ্যেই, দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। মূল অভিযুক্ত অন্য একটি মামলায় জেলবন্দি রয়েছে। ঘটনাটি ঘটে, মহারাষ্ট্রের থানেতে।
জানা গিয়েছে, গত বছর নভেম্বর মাসে ২৩ বছর বয়সী মানসী ভোরই নামে তরুণী হঠাত্ নিখোঁজ হয়। পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় থানায়। তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে খুঁজে পায়নি পুলিস। অন্যদিকে, কয়েক দিন পরেই একটি খাঁড়ির পাশে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। কিন্তু সেই সময় মৃতদেহটি শনাক্ত করা যায়নি বলেই পুলিস জানায়। কোনও সূত্র না মেলায়, তদন্ত আর এগোয়নি সেই সময়।
সেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পর নিখোঁজ তরুণীর বিষয়টিও খতিয়ে দেখে পুলিস। তখনই তরুণীর দেহে ট্যাটু দেখে পরিবারের সদস্যদের ডাকা হয়। তরুণীর বোন মৃতদেহটি দেখেই শনাক্ত করেন। এরপরই খুনের নেপথ্যের কারণ খুঁজতে শুরু করে পুলিস। তরুণীর ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়।
ফোনের তথ্য ঘেঁটে পুলিসের কাছে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুনের দিন ন শেষবার আদিল নামের এক যুবকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তরুণী। তরুণীর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে চেয়েছিল যুবক। তাতেই নারাজ ছিলেন তিনি। এরপরই একটি ব্রিজের উপর থেকে তরুণীকে ধাক্কা দিয়ে নীচে ফেলে দেন। নীচে পড়েই জ্ঞান হারান তরুণী। এরপর আরও দুই বন্ধু এসে খাঁড়িতে তাঁর দেহ ভাসিয়ে দেয়। জলের স্রোতে ভেসে মৃত্যু হয় তরুণীর। কয়েক কিলোমিটার দূরে তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিস।