বিবাহিত প্রেমিকাকে খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে চার দিকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মৃতের কিছু দেহাংশ এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
ঘটনাটি রাজস্থানের নগউর জেলার দেরভা গ্রামের। মৃতের নাম গুড্ডি। তিনি বিবাহিত।কিন্তু গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিবাহবহির্ভূত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ। গত ২০ জানুয়ারি শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন গুড্ডি। তার পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
২২ জানুয়ারি গুড্ডির পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তার পর গ্রামে তাঁর প্রেমিক আনোপরমকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি জেরার মুখে তিনি খুনের কথা স্বীকার করে নেন। পুলিশকে তিনি এ-ও জানান, কোথায় কী ভাবে গুড্ডির দেহাংশ তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন।
পুলিশের কাছে অভিযুক্তের দাবি, গুড্ডি তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। সেই কারণেই এই খুন করা হয়েছে। গ্রামেরই একটি পাতকুয়োয় প্রেমিকার দেহের অংশ ফেলেছেন বলে দাবি করেন অভিযুক্ত। তিন দিন ধরে সেখানে দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। নামানো হয়েছে ড্রোন ক্যামেরাও।
তদন্তে নেমে প্রথমেই গ্রামের ঝোপে রক্তমাখা জামাকাপড়, চুলের ক্লিপ খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ। গ্রামবাসীরা জানান, অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে গুড্ডিকে মোটরসাইকেলে শেষ বার দেখেছেন তাঁরা। তার পরেই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ।
নগউর জেলার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট রমামূর্তি জোশী জানিয়েছেন, ধৃত যুবক প্রথমে পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পরে খুনের কথা স্বীকার করে নেন। জয়পুরে তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।