রাজ্যসভায় বিজেপির নতুন দলনেতা হিসাবে নিয়োগ করা হল দলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নড্ডাকে। এত দিন এই পদে ছিলেন আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। কিন্তু এ বার পীযূষ উত্তর মুম্বই লোকসভা আসন থেকে জয়ী হন। ফলে রাজ্যসভায় তাঁর শূন্যস্থানে কাউকে নিয়োগ করতেই হত।
গত এপ্রিল মাসে গুজরাত থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন নড্ডা। লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি তিনি। কিন্তু তৃতীয় এনডিএ মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য এবং রাসায়নিক ও সার মন্ত্রকের দায়িত্ব পান তিনি। ২০২০ সালে অমিত শাহের পর বিজেপি সভাপতি হয়েছিলেন তিনি। গত ৯ জুন তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন, এ বার সভাপতি পদে ইস্তফা দেবেন তিনি। তবে সোমবার নড্ডা রাজ্যসভার দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর অনেকেই মনে করছেন, এখনই বিজেপি সভাপতি হিসাবে নতুন কাউকে আনা হচ্ছে। ফলে আপাতত সংগঠন, মন্ত্রক এবং রাজ্যসভায় দলের অভিমুখ— এই তিন দিকেই নজর রাখতে হবে হিমাচল প্রদেশের এই নেতাকে।
বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, অন্তত ৫০ শতাংশ রাজ্যে সাংগঠনিক নির্বাচন না হলে নতুন সভাপতি হিসাবে কাউকে নির্বাচিত করা যায় না। সেই হিসাব মাথায় রাখলে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত নড্ডাই বিজেপি সভাপতি থাকবেন বলে দাবি পদ্মশিবিরের একটি সূত্রের।
আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র মাধ্যমে রাজনৈতিক হাতেখড়ি হয় নড্ডার। ১৯৯৩, ১৯৯৮ এবং ২০০৭ সালে হিমাচলের বিলাসপুর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৮ থেকে থেকে ২০০৩ পর্যন্ত তিনি হিমাচলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০১২ সালে প্রথম হিমাচল থেকে রাজ্যসভায় যান নড্ডা। ২০১৪ সালে অমিত শাহ বিজেপি সভাপতি হলে দলের সংসদীয় বোর্ডের সদস্য হন তিনি।
ঘটনাচক্রে, দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। নড্ডা রাজ্যসভায় দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে কংগ্রেস।