বিশ্বজুড়ে তুঙ্গে প্রযুক্তি পরিষেবার চাহিদা। আর সেই কারণেই আগামী এক-দেড় বছর আইটি ক্ষেত্রে ফ্রেশারদের চাহিদা তুঙ্গে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস, ইনফোসিস, এইচসিএল টেকনোলজিস এবং উইপ্রো- দেশের চারটি বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা চলতি অর্থবর্ষে প্রায় ১,২০,০০০ ফ্রেশার নিয়োগ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। টিসিএস, ইনফোসিস, এইচসিএল এবং উইপ্রো একসঙ্গে দেশের মোট আইটি পরিষেবার আয়ের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি উপার্জন করে।
মাইন্ডট্রির মতো মাঝারি আকারের আইটি সংস্থাগুলিও চলতি অর্থবর্ষে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতকদের নিয়োগ করবে। ‘আইটি সংস্থাগুলি বর্তমানে বেশ কিছু বড় প্রকল্পে হাত দিচ্ছে। এদিকে বেশিরভাগের কাছেই এখন নতুন কাজ করার মতো পর্যাপ্ত লোক নেই,’ জানালেন স্টাফিং সলিউশন সংস্থা এক্সফেনোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা কমল করান্থ।
মহামারী পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংস্থাগুলিতে ডিজিটালাইজেশন বেড়েছে। আর তার পরিষেবা দিচ্ছে আইটি সংস্থাগুলি। আইটির কাজে ওয়ার্ক ফ্রম হোমেও কোনও সমস্যা নেই। এর ফলে আইটি সংস্থাগুলির রমরমা বেড়েছে। টিসিএস, ইনফোসিস, এইচসিএল এবং উইপ্রো জুনের মাসে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকেই প্রায় ৪৮,৫০০ কর্মী নিয়োগ করেছে।
টিসিএস, ভারতের বৃহত্তম আইটি সংস্থা, ২০,৪০০ জনেরও বেশি কর্মী নিয়োগ করেছে। ইনফসিস ৮,২০০ জন, উইপ্রো ১২,০০০ জন এবং এইচসিএল টেকনোলজিস ৭,৫০০ জনকে নিয়োগ করেছে।