লাদাখের পর এবার ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উত্তর-পূর্বের অরুণাচলপ্রদেশ। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জোরদার করতে তাই ভারতীয় সেনা পূর্ব সেক্টরে নতুন অস্ত্র মোতায়েন করেছে। অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে দুই পক্ষই। লাদাখের পর আরও একটি সেক্টরে এহেন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বেশ চিন্তার কারণ বলে মতক বিশেষজ্ঞদের। তবে ভারতীয় সেনাও চিনের সম্ভাব্য যেকোনও হামলা রুখতে প্রস্তুত।
পূর্ব সেক্টরে মোতায়েন করা নতুন অস্ত্রগুলির মধ্যে রয়েছে M777 আল্ট্রা-লাইট হাউইতজার এবং CH-47F চিনুক হেলিকপ্টার। সুইডিশ অস্ত্র সংস্থা বোফর্স এবি-র তৈরি আপগ্রেডেড L-70 অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট কামানও পূর্ব সেক্টরে মোতায়েন করা হয়েছে। উচ্চতা এবং দুর্গম পথের কারণে সীমান্তের বহু স্থানেই ভারী কামান মোতায়েন করা সম্ভব হয়নি। তবে চিনুকের সাহায্যে সেই সব স্থানে M777 আল্ট্রা-লাইট হাউইতজার মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অরুণাচলপ্রদেশে মোতায়েন আর্টিলারি ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সঞ্জীব কুমার।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
প্রসঙ্গত, সিকিম থেকে অরুণাচলপ্রদেশ পর্যন্ত ভারত-চিন সীমান্তের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩৪৬ কিলোমিটার। গত প্রায় ১৮ মাস ধরে লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে ভারত। এরই মাঝে সীমান্ত বিবাদের জেরে অরুণাচলেও সম্প্রতি দুই দেশের সেনা মুয়খোমুখি হয়। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। তবে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে যে চিন যুদ্ধের অভ্যাসের তীব্রতা বাড়িয়েছে সীমান্ত পারে। পাশাপাশি সেখানে রিজার্ভ ফোর্সও মোতায়েন করেছে পিএলএ। ক্রমেই অরুণাচল সীমান্ত বরাবর পরিস্থিতিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে কমান্ডারস্তরে মোট ১৩ দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাতেও বিবাদের মীমাংসা কিছুই হয়নি। শেষবার এই বৈঠক হয় গত ১০ অক্টোবর। এই আবহে অত্যাধুনিক কামানের পাশাপাশি অরুণাচলপ্রদেশের ভারত-চিন সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের মতো বাহনের সংখ্যা বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।