উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আজ শেষ হল। এরপর বিকাশ ভবনের শিক্ষা দফ্তরে প্রেস কনফারেন্স করেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচাৰ্য। এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, ২০২৪ এর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা যথা সময় শুরু হয় এবং ২৯ ফেব্রুয়ারি এই পরীক্ষা শেষ হল। সামগ্রিকভাবে সমস্ত পরীক্ষা সুষ্ঠু নির্বিঘ্নে এবং খুবই সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৯০ হাজার ২২১ এর সামান্য বেশি। মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৮২৭ টি। ৬৭৯১ টি স্কুলে পরীক্ষা হয়েছে গোটা রাজ্যে। ২৩টি জেলার মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা থেকে ছাত্রের সংখ্যা বেশি ছিল। ১ লক্ষ ৩ হাজার ১৭ জন ছাত্রীর সংখ্যা ছাত্রের থেকে বেশি। পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢুকেছে এবং পরীক্ষা বাতিল হয়েছে এরকম পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪১ জন।
যেহেতু এই ছাত্রদের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে রয়েছে সেই কারণে ফলে এটা খুব সাবধানে এবং সংবেদনশীলতার সঙ্গে এই বিষয়ে প্রশাসন তদন্ত চালাচ্ছে। পরীক্ষার আগে এবং পরীক্ষার মধ্য বেশ কিছু অসাধুচক্র সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দিয়েছিল যাতে পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা যায়। সরকারকে কালিমা লিপ্ত করা যায় নানা রকম প্রয়াস তারা চালিয়েছিল। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি।
সরকার এবং সংসদ এ ব্যাপারে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা এ ধরনের ভুয়া প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার যে চক্র তার মূল পান্ডাকে গ্রেফতার করেছে। চারজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে দিতে অসুস্থ হয়ে বা অন্য কোনও কারণে অ্যাক্সিডেন্টে চারজন মারা গিয়েছেন। দুজন মুর্শিদাবাদ জেলায়, একজন আলিপুরদুয়ার জেলায়, একজন পূর্ব বর্ধমান জেলায়। এদের অকাল প্রয়াণে আমরা মর্মাহত।
সাড়ে ৬০০০ কেন্দ্রে ইচ্ছা করে ঢুকতে দিচ্ছেন অশিক্ষা কর্মচারী বা শিক্ষক, পর্ষদ তাদের আইডেন্টিফাই করেছে। সামনের বার এই সংখ্যাটা একেবারে নির্মূল করা যাবে কিনা জানি না তবে নিশ্চয়ই কমানো যাবে। যাদেরকে চিহ্নিত করেছে সংসদ তাদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এইসব স্কুলগুলিতে মোবাইল নিয়ে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। সেগুলো আমরা দেখছি, তাদেরকে চিহ্নিতকরণ করা হচ্ছে। সামনের বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ৩ রা মার্চ আর শেষ হবে ১৮ ই মার্চ ২০২৫। রুটিন ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে।