নাগরোটায় হদিশ সুড়ঙ্গের, মিলল করাচি লেখা বস্তা

জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরোটায় সুড়ঙ্গের হদিশ ।রবিবার সাম্বা সেক্টরের যে আন্তঃসীমান্ত এই সুড়ঙ্গের হদিশ পায় বিএসএফ। সেখানে মিলেছে করাচির বালির বস্তা। এই ঘটনায় জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা কোথা দিয়ে ভারতে ঢুকেছিল, তারও হদিশ মিলল। সেই সঙ্গে নাগরোটাকাণ্ডে  পাকিস্তান- জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি যোগ আরও জোড়াল হল ।

বিএসএফের ইনস্পেক্টর জেনারেল এনএস জামওয়াল বলেন, ‘রবিবার সাম্বা সেক্টরের রিগ্যাল পোস্টের কাছে সুড়ঙ্গটির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যা ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ১৬০ মিটার ভিতর পর্যন্ত এসেছে।’ তিনি জানান, সেই সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করেছিল নাগরোটার জইশ জঙ্গিরা।  রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টা নাগাদ  হদিশ পাওয়া সুরঙ্গটি পাকিস্তান রেঞ্জার্সের চকভুরা থেকে   শুরু হয়েছে বলে বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে । ছোটো ছোটো কাঠের পাটাতন দিয়ে সেটিকে মজবুত করা হয়েছিল। সেটির গভীরতা প্রায় ২০ ফুট এবং তিন ফুট চওড়া। সুড়ঙ্গের মুখ প্রায় ১.৫ ফুট চওড়া। যেখান দিয়ে অনায়াসে ৩২ ইঞ্চির কোমর পার করে যেতে পারে। সুড়ঙ্গের মুখ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বালির বস্তা। তাতে লেখা ছিল ‘অ্যাঙ্গরো ফার্টিলাইজার, করাচি, পাকিস্তান’। বিএসএফের ইনস্পেক্টর জেনারেল বলেন, ‘আমরা দড়ি এবং ১০-১৫ টি বালির বস্তা উদ্ধার করেছি। যেগুলি (সুড়ঙ্গের মুখে) ব্যবহার করা হয়েছিল।’ তিনি জানান, বান টোলপ্লাজার নিহত জঙ্গিদের যে পাকিস্তানের যোগ ছিল, তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ ও ছবিগুলি-সহ রেঞ্জার্সের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে নাগরোটার বান টোলপ্লাজার কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। তাতে চার জঙ্গিকে খতম করা হয়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ, গ্রেনেড এবং বিস্ফোরক (আরডিএক্স) থেকে স্পষ্ট যে উপত্যকায় বড়সড় হামলা চালানোর ছক ছিল। জঙ্গিদের থেকে ১১ টি একে-সিরিজের রাইফেল, ৩০ টি চিনা গ্রেনেড, ১৬ টি একে ধরনের গোলাবারুদ এবং ২০ কিলোগ্রাম আরডিএক্স উদ্ধার করা হয়।  শুধু তাই নয়, সীমান্তের ওপার থেকে যে মদত জোগানো হয়েছিল, তা একেবারে স্পষ্ট। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার হওয়া একটি জিপিএস এবং চারটি মোবাইল থেকে প্রাথমিকভাবে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে জইশের অপারেশনাল কমান্ডার মুফতি রউফ আসঘার এবং কারি জারারের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগ ছিল। যে আসঘার হচ্ছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ছোটো ভাই এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের নির্ধারিত জঙ্গি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.