ক্ষমতায় এলে ‘সংগ্রামী ভাতা’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই ভাতার পরিমাণ ৫ হাজার টাকা। ঘোষণাই করে দিয়েছেন শুভেন্দু। কারা পাবেন এই সংগ্রামী ভাতা? যাঁরা ‘মিথ্যা মামলায়’ জেলে গিয়েছেন, তাঁদের জন্য এই উদ্যোগ বলে বুথকর্মীদের সভায় ওই কথা জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। এনিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপি প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বুধবার বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী এনিয়ে বলেন, ঠিক আছে,’যারা সরকারি ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পরিবারের লোককে মেরে দিয়েছে, বাড়ি ঘর ভেঙে দিয়েছে, আপনারা জানেন ইমার্জেন্সি পিরিয়ডে জেলে গিয়েছিল। মিসা কেসে জেলে গিয়েছিল। তাদেরকে পরবর্তী কালে কেন্দ্রীয় সরকার ভাতা দিয়েছিল।তাই শুভেন্দুদা যখন বলেছেন। ভেবেই বলেছেন।’
এদিন বর্ধমান পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জমতালা এলাকায় একটি মাঠে মর্নিং ওয়ার্ক করতে বের হন দিলীপ ঘোষ। মাঠে হাঁচার পাশাপাশ ফুটবলও খেলেন, গোলও করেন। তৃণমূলকে বিঁধে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন,
যারা কাকার বাড়ি, মেসোর বাড়ি যাচ্ছে তাদের জন্য বলছি। আমরা তো সকাল থেকে পাবলিকের সঙ্গে আছি। যাদের পাবলিকের সামনে যাওয়ার মত মুখ নাই। লোকের প্রশ্নের উত্তর নেই। তারা এখন নির্বাচন কমিশনে প্যারেড করছে।
সন্দেশখালিতে শাহাজান প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, শাহাজানের একটা বাড়ি সিজ করলে হবে না। তার কত বাড়ি,কত বাজার, কত দোকান, সরকারি জায়গা দখল করে পার্ক,পার্কিং এগুলো সব তালা মারতে হবে।সরকার সব ক্রোক করুক বলে তিনি দাব করেন । সাধারণ মানুষকে সুবিচার দিতে হয়,জাস্টিস দিতে হয়, অপরাধীদের সাজা দিতে হয়। তা না হলে সিবিআই চাই,ইডি চাই,এনআইএ চাই। এখন যে ধরনের রাষ্ট্র বিরোধী কাজ হচ্ছে। রাষ্ট্র বিরোধী গতিবিধি হচ্ছে, বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে। সরকারের কিছু ডিপার্টমেন্ট ঘটনা ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। খাগড়াগড়ের অপরাধী আপনারাতো সব জানেন। এখান থেকেই বোম ব্লাস্ট শুরু হয়েছিল। আমি তখন এসেছিলাম। তাই এধরনের ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে, যার কোন কিনারা হয়নি, সাজা দেওয়া হয়নি। পটকা ফেটেছে বলে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই সরকারের সময় এত পটকা ফাটছে কেন, এতবাড়ি ঘর ভাঙা যাচ্ছে, মানুষ মারা যাচ্ছে হাত-পা ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। যেখানে বিস্ফোরণ হচ্ছে গিয়ে দেখুন,বাড়ির চাল উড়ে যাচ্ছে, মানুষের হাত পা উড়ে যাচ্ছে। আমরা তো এমন দেখিনা, তাই এনআই এ তদন্ত করে আসল রহস্য বার করার দরকার আছে।