আজ কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই গণনাকেন্দ্রে শুরু হয়ে গিয়েছে টানটান উত্তেজনা। কলকাতার ১১টি কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তায় শুরু হয়েছে গণনা। আজ লালবাড়ি কাদের দখলে যায়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সবাই। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গণনা শুরু হয়েছে। সমস্ত গণনা কেন্দ্রের বাইরে জারি ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। এক একটি ঘরে আছে ৭টা করে টেবিল। ১৩ থেকে ১৬ রাউন্ড করে গণনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই এই নির্বাচনকে ঘিরে শাসক–বিরোধী চাপানউতোর দেখা গিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি ছিল, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। আগামী ২৩ তারিখ ভোটের বিশৃঙ্খলার প্রমাণ নিয়ে সিপিআইএম–বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করবে। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে গতবার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১৪টিতে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেই সংখ্যা কত হবে? উঠছে প্রশ্ন। যদিও মঙ্গলবারের ভোটগণনার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, ১৩৪ ওয়ার্ডের কম নয়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বামেরা ১৫, বিজেপি সাত, কংগ্রেস পাঁচ এবং অন্যেরা তিনটি ওয়ার্ডে জিতেছিল। এবার বিরোধীদের আশা, তাঁরা ১০ পেরোবেন। সকাল ৬টায় গণনাকেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছেন পুলিশ কর্মীরা। মোট কাউন্টিং সেন্টার ১১টি। অফিসার মিলিয়ে মোতায়েন মোট ৩০০০ পুলিশ। প্রত্যেক কাউন্টিং সেন্টারের দায়িত্বে দু’জন ডিসি। দু’তিনটি কাউন্টিং সেন্টারের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন একজন করে ডিসি। কাউন্টিংয়ের জায়গায় আগে পর্যন্ত ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গণনা কেন্দ্র থেকে বিজয় মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হয়েছে।
কলকাতায় নির্বাচনী গোলমালের যে ‘ইতিহাস’ আছে তার নিরিখে অবশ্য রবিবার বড় কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। ইতিমধ্যেই পুরসভা নির্বাচনের পরদিনই কলকাতা পুলিশ ও নগরপালকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র উপস্থিত রয়েছেন। আমি নামটা আগে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। ওরা খুব ভাল কাজ করেছে এবং ওরাই কলকাতার সবকিছু রক্ষা করে।’ অবশ্য বুথ ফেরত সমীক্ষা পূর্বাভাস দিয়েছে, কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩১টিতে জয়ী হয়ে লালবাড়ির ক্ষমতায় ফিরতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি ১৩টির পেতে পারে বিজেপি। এখন দেখার গণনা শেষে ফল কি দাঁড়ায়।