ভারতে ভাষাগণতন্ত্র দিবস স্মরণ করা হয় সোমবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় সংহতি সংসদে। পরিবেশিত হয় মাতৃভাষা বিষয়ক কবিতা ও গান। বিকেলে হয় কলেজ স্কোয়ার পরিক্রমা তথা ভাষা পদযাত্রা।
সর্বভারতীয় বাংলা ভাষা মঞ্চের সম্পাদক নীতিশ বিশ্বাস আবেদন করেন, ভারতে ভাষাগণতন্ত্র দিবস, ২০শে ফেব্রুয়ারি আর সঙ্গে ২১শে ফেব্রুয়ারি পালন করুন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ১৯৫২-র ভাষা শহিদ দিবস পালন করুন। ভারতের অহিন্দি ২১টি জাতীয় ভাষা ও ৬০০-র বেশি স্থানীয় ভাষার সাংবিধানিক ভাষিক অধিকারের দাবিতে পালন করুন। ১৯শে মে ১১ শহিদ স্মরণে পালন করুন ভারতে বাংলাভাষার অধিকার দিবস হিসেবে।
আমরা চাই যেখানে এককালে বাংলা স্কুল সহ বাংলা পড়ার সুযোগ ছিলো তা পুনঃ প্রতিষ্ঠা হোক। রাজ্যে রাজ্যে বাংলা ভাষার যে সঠিক সাংবিধানিক অধিকার তা দেওয়া হোক। আর অসমে অবিলম্বে বন্ধ হোক বাঙালি নির্যাতন ও বিতাড়ন। তার জন্য বাংলাভাষা মঞ্চের উদ্যোগে যৌথ আন্দোলন গড়ে উঠুক।
১লা নভেম্বর পালিত হোক দীর্ঘতম মানভূম ভাষা আন্দোলনের স্মরণে পশ্চিমবঙ্গে পালিত হোক নিজ রাজ্যে বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার দিবস।
১। জীবনের সর্বক্ষেত্রে ও প্রশাসনে, চাকুরির পরীক্ষায় বাংলা হোক প্রধান ভাষা।
২। ভারতের অন্যরাজ্যের মতো এ রাজ্যের সবধরনের স্কুলে প্রথম বা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বাংলা পড়া আবশ্যিক করতে হবে। সঙ্গে প্রয়োজনে আসুক ইংরেজি। দক্ষিণ ভারত ও উত্তর ভারতে বাস্তবত দ্বিভাষা নীতি মান্য করা হয়। আমরা কেন ত্রিভাষার গোলক ধাঁধাঁয় পড়ে শিক্ষায় বা প্রশাসনে হিন্দির গোলামী করতে যাব? এই চক্রান্তকারী অপ-সাংবিধানিক নীতি চক্রের বিরুদ্ধে যুক্তিবাদী ও মুক্তচিন্তা বংলাভাষী সব মানুষ এক হোন।
এদিন সভায় আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন কাজল সেন, সূর্যাংশু ভট্টাচার্য, সনৎকুমার নস্কর, সন্দীপকুমার মণ্ডল, উত্তম বিশ্বাস, অঞ্জন ঘোষ, আশিস সানা, জয়ন্ত রায়, বকুলচন্দ্র রায় সন্দীপ দত্ত, রনজিত দত্ত, দুলালকৃষ্ণ দাস, অমিতাভ চক্রবর্তী ও অতিথি বৃন্দ। সভাপতি ছিলেন নীতিশ বিশ্বাস ও সমীরবরণ দাস।