অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানে বিধ্বস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। সেসব এলাকা পরিদর্শন করে বিপর্যস্ত মানুষজনের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের। কিন্তু ত্রাণ নিয়ে বারুইপুর যাওয়ার পথেই পুলিশি বাধার মুখে পড়লেন তিনি। গড়িয়ার কাছে রীতিমত ব্যারিকেড দিয়ে তাঁর গাড়ি আটকাল পুলিশ। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে আটকানো হয়েছে বলে অভিযোগে সরব বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

শনিবার সকালে বারুইপুরের বিজেপি পার্টি অফিস হয়ে ক্যানিং ও বাসন্তীর আমফান বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন, মানুষজনের সঙ্গে কথা বলা, তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে ত্রাণ তুলে দেওয়া – এমনই কর্মসূচি ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি্ দিলীপ ঘোষের। সেইমতো গাড়ি নিয়ে বেরিয়েও পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু শুরুতেই বাধা। গড়িয়ার ঢালাই ব্রিজের কাছে তাঁর গাড়ি আটকে দিল পুলিশ। রীতিমত ব্যারিকেড করা হল। মোতায়েন প্রচুর পুলিশ কর্মী।

পুলিশের এই বাধা পেয়ে তার কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছুটা অবাক হন দিলীপ ঘোষ। এরপর তিনি সরাসরি পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেন তাঁর গাড়ি আটকানোর কারণ। পুলিশ তাঁকে জানায় যে লকডাউন চলছে, তারউপর আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে বিপদও রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় না যাওয়া নিরাপত্তার কারণেই সঙ্গত। এই যুক্তি দেখিয়ে দিলীপ ঘোষের গাড়ি ঢালাই ব্রিজ থেকে আর এগোতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। ব্যারিকেড করে তাঁর গাড়ি আটকানোর ফলে বাইপাসে প্রচুর যানজট তৈরি হয়েছিল। পাটুলি পর্যন্ত গাড়ি, বাস দাঁড়িয়ে যায়। পরে অবশ্য সেসব ছেড়ে দেওয়া হলেও, দিলীপ ঘোষের গাড়ি ছাড়া হয়নি।

পুলিশের এই ভূমিকায় বেশ ক্ষুব্ধ বিজেপি রাজ্য সভাপতি। ঢালাই ব্রিজ এলাকায় এত পুলিশ দেখে তাঁর অনুমান, বারুইপুরে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার সময় যে তাঁর পথরোধ করা হবে, সেই পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল পুলিশের। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সকলেই বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে যাচ্ছেন, বিশেষত মুখ্যমন্ত্রী নিজে সেসব জায়গায় সফর করছেন। তাহলে তাঁকে কেন আটকানো হচ্ছে? এতে রাজনৈতিক অভিসন্ধিই দেখছে রাজ্য বিজেপির একাংশ। প্রতিবাদে আবার ক্যানিংয়ে রাস্তা  অবরোধ করেন  বিজেপি কর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.