২০৪৭ সালের মধ্যে দরিদ্র মুক্ত ভারত গড়বে এই সরকার। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনের সূচনা পর্বে এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। গত ৯ বছর ধরে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে শত্রুদের মোক্ষম জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে দিচ্ছে ভারত। আগামী দিনে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট এটা। গত দু’বছর কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ায়নি সরকার। তাই এবারের বাজেটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে দেশবাসী। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ভাষণ দিয়ে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। যদিও তার আগে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী বলেন, দেশবাসী স্বার্থেই বাজেট তৈরি করবে কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতির ভাষণেও সেই কথা শোনা গেছে।
দরিদ্র দেশবাসীর সমস্যা সমাধান ও তাদের ক্ষমতায়নের জন্য একাধিক প্রকল্প শুরু করেছে কেন্দ্র। বর্তমান সরকার যে গরিবদের প্রতি সহানুভূতিশীল তার প্রমাণ প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মত একাধিক প্রকল্প বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। ৯ বছরে মোদী সরকারের হাত ধরে কিভাবে দেশে গিয়েছে সে বিষয়টিও নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারতকে আত্মবিশ্বাসী দেশ হিসেবে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে শুরু করেছে সারা বিশ্ব। আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানও বলে দিচ্ছে ভারত। কারণ নির্ভয় ও শক্তিশালী সরকারের হাত ধরেই নতুন স্বপ্ন দেখছে দেশের মানুষ। সমস্যা মেটাতে কোন শর্টকাট নয় স্থায়ী সমাধান করছে এই সরকার।
রাষ্ট্রপতি ভাষণে বলেন, কোভিডের সময়ে সারা বিশ্ব যখন সংকটের মধ্যে পড়েছে, ভারত এই সমস্যা মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে। বিশ্ব ব্যাপী দারিদ্রের মধ্যেও দেশবাসীর হাতে ২৭ লক্ষ কোটি টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে, যেনো অতিমারির সময় তাদের খাদ্য সংকটে পড়তে না হয়। আর এই গোটা প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।