তথ্যযুদ্ধ শুরু করেছে বিবিসি, ভারতকে বদনাম করার চেষ্টা, তথ্যচিত্র প্রসঙ্গে মোদীর পাশে দাঁড়ালো রাশিয়া

 বিবিসির তথ্যচিত্র ইন্ডিয়া দ্যা মোদী কোয়েশ্চেন প্রসঙ্গে বিতর্কে দিল্লির পাশে দাঁড়ালো মস্কো। পুতিন সরকারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দুই দশক আগেকার গোধরা হিংসা নিয়ে ওই তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হয়েছে।

গত এক বছরে আমেরিকা সহ পশ্চিমী দুনিয়ার ধারাবাহিক চাপ সত্বেও রাষ্ট্রপুঞ্জে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি ভারত। সেই দিকে ইঙ্গিত করে রুশ বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার বলেছেন, স্বাধীন-বিদেশ নীতি রয়েছে এমন দেশ গুলির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার যুদ্ধ চালাচ্ছে বিবিসি। ইন্ডিয়া দ্যা মোদী কোয়েশ্চেন তথ্য চিত্রটি সেই প্রচারযুদ্ধের একটি উদাহরণ।

রুশ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও অভিযোগ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন শক্তির মধ্যে তথ্যযুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করছে বিবিসি। এটা তার অন্যতম প্রমাণ। শুধু রাশিয়ায় নয় বিশ্বের একাধিক শক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একই কাজ করছে বিবিসি।

২০০২ সালে গুজরাটে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে গোধরা কান্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বিবিসি। কিন্তু ইন্ডিয়া দ্যা মোদী কোয়েশ্চেন নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে এসেছে কেন্দ্র সরকার। এই তথ্যচিত্রটিকে অপপ্রচার বলে দাবি করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্য চিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে ইউটিউব এবং টুইটারকে বিবিসির তথ্যচিত্রের লিংক সমাজ মাধ্যম থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

বিবিসির তথ্যচিত্র ইন্ডিয়া দ্যা মোদী কোয়েশ্চেনের বিরোধিতা শুরু হয়েছে ব্রিটেনেও। বিবিসির বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্তের দাবি উঠেছে। সেখানে অনলাইন পিটিশন দাখিল করে বলা হয়েছে, “বিবিসির কড়া নিন্দা করছি। তারা ডকু সিরিজ তৈরির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। বিবিসি নিরপেক্ষ ভূমিকা কেন পালন করল না তা তদন্ত করে দেখুন বিবিসির বোর্ড।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.